সিলিন্ডারের ঘাটতির মধ্যে সাহায্য করছে কনসেনট্রেটর নামক যন্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
বহু রাজ্যেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি রয়েছে। বহু কোভিড আক্রান্তই সময় মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার না পাওয়ার কারণে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই অবস্থায় উঠে আসছে একটি যন্ত্রের নাম। ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’। সিলিন্ডারের ঘাটতির মধ্যে বহু কোভিড আক্রান্ত বাড়িতেই সাহায্য পাচ্ছেন এই যন্ত্র থেকে।
ফুসফুসের বহু ধরনে সমস্যার উপশম হিসেবে রোগীদের এই যন্ত্র ব্যবহার করার পরমার্শ দেন চিকিৎসকরা। এমন ধরনের রোগ, যাতে ফুসফুসের ভিতরে ফাইব্রোসিস হয়, ফুসফুসরে ভিতরটা ক্রমশ ছোট হয়ে আসে, সে সব ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। সাধারণত অক্সিমিটারের মাপ অনুযায়ী, সাধারণ অবস্থায় একজন মানুষের শরীরে ৯৫ শতাংশের উপরে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। কিন্তু ফুসফুসের ভিতরে ফাইব্রোসিস হলে, তার মাত্রা কমতে থাকে। করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। এমন রোগীদের অনেকেই উপকৃত হয়েছেন এই ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’-এর মাধ্যমে।
হালে খবরে এসেছিল নাগপুরের এক কোভিড আক্রান্তের ঘটনা। অক্সিজেনের মাত্রা ৮২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল তাঁর ক্ষেত্রে। হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছিলেন না। অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। খুব সংকটের মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই এই ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’ দেওয়া হয় তাঁকে। কয়েক দিন পরে হাসপাতালে জায়গা পান ওই ব্যক্তি। কিন্তু তত দিন পর্যন্ত এই যন্ত্রের কারণে তাঁর অবস্থা বেশি মাত্রায় খারাপের দিকে যায়নি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কী ভাবে কাজ করে এই যন্ত্র? মূলত পরিবেশ থেকে বাতাস সংগ্রহ করে, তার থেকে অক্সিজেন ব্যতিরেকে অন্য গ্যাসগুলি বের করে দেয় এই যন্ত্র। অক্সিজেনটি জমা হয় যন্ত্রের ভিতর। নলের মাধ্যমে তা রোগী টেনে নিতে পারেন। প্রয়োজন অনুযায়ী, কমানো-বাড়ানো যায় অক্সিজেনের গতি। ফলে অক্সিজেনের অপচয় হওয়ার আশঙ্কাও কম এতে।
এমনও দেখা গিয়েছে, ৮০ শতাংশের নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যাওয়া রোগীদেরও সাহায্য করেছে এই যন্ত্র। শুধু কোভিড সংক্রমণের সময় নয়, এই রোগ সারিয়ে ওঠার সময়ও যন্ত্রটি খুব কাজে লাগে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।