প্রতীকী ছবি।
ধূমপান করলে কোভিডে সংক্রমণের আশঙ্কা এবং তার ভয়াবহতা বেশি বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারা জানাচ্ছে, যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের থেকে অনেক বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে ধূমপায়ীদের।
কেমন এমনটা মনে করছে হু? কারণ, ধূমপান করার সময় মুখ এবং নাকের খুব কাছে চলে আসে আঙুল। ফলে যদি করোনা ভাইরাস হাতে থেকে থাকে, তা হলে তা খুব সহজেই হাত থেকে নাক এবং মুখে প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধূমপায়ীদের দল বেঁধে ধূমপান করতে দেখা যায়। যা সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তোলে। হুঁকোর মতো কোনও কোনও নেশার দ্রব্যের পাইপ থেকেও সহজে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কারণ একাধিক মানুষ ওই পাইপ ব্যবহার করেন।
ধূমপায়ীদের নিয়ে আরও একটি বিষয় বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে। সেটা হচ্ছে ধূমপায়ীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ফুসফুসের দুরাবস্থা। এর আগে সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের শরীরে করোনার প্রভাব মারাত্মক। কারণ করোনা ভাইরাসের কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। আর ধূমপান করার ফলে আগে থেকেই ফুসফুস অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই করোনাও সহজেই থাবা বসিয়ে দেয় ফুসফুসে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে আসে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেই সুযোগে শরীরে থাবা বসাচ্ছে কোভিড ১৯।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।