প্রতীকী ছবি।
রাত জেগে কাজ করেন। কিংবা সারা দিনের কাজের ক্লান্তি কাটাতে রাতে টিভি দেখেন। আর তখনই কিছু খেতে ইচ্ছা করে। সঙ্গে সঙ্গে হাত চলে যায় মোবাইলের অ্যাপে। চলে আসে বার্গার, মাংস ভাজা কিংবা চিপস্। এমন করেই কাটছে দিনের পর দিন। অতিমারির এই সময়ে এটুকুই তো মন ভাল রাখার উপায়। এমন বলছেন অনেকেই। কিন্তু শরীর ভাল থাকবে কি এতে? ঘুমনোর আগে ভাজাভুজি খেলে কী প্রভাব পড়ে শরীরের উপর? সে কথা কি জানা আছে?
এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু বেশ বিতর্ক রয়েছে চিকিৎসক আর পুষ্টিবিদদের মধ্যে। কেউ যেমন বলে দেন, রাতে হজমপ্রক্রিয়ার গতি কমে। ফলে ঘুমের আগে বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করলে মেদ জমে। ওজন বাড়ে। কিন্তু আর এক দল চিকিৎসকের আবার বক্তব্য, রাতে মনের মতো খাবার পেলে ভাল ঘুম হয়। তাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় শরীর। তাই মাঝেমধ্যে বেশি রাতে ফাস্টফুড খাওয়াও ভাল।
প্রতীকী ছবি।
তাই বলে কি সত্যিই কোনও দিন মধ্যরাতে বার্গার, তো আর এক দিন আইসক্রিম খাবেন? শরীর তাতে সুস্থ থাকবে তো?
আমেরিকার একদল পুষ্টিবিদ এই বিতর্কে ছেদ টেনেছে। তাদের বক্তব্য, যত দেরি খাবার খাওয়া হবে, তবে দেরি হবে তা হজম হতে। যে সব খাবারে বেশি ক্যালোরি, তা হজম হতে আরও বেশি সময় নেবে। ফলে মন ভাল থাকলেও আদতে ঘুম খুব ভাল হতে পারে না।
তাই বেশি রাতে পিৎজা কেনার সময়ে নিজেকে আটকানোর চেষ্টা আরও প্রবল হওয়া জরুরি।