Plank Position

৩০ না কি ৬০? পেটের মেদ ঝরাতে ঠিক কত সেকেন্ড সময় ধরে ‘প্লাঙ্ক’ করা উচিত?

প্লাঙ্ক পোজ় ধরে রাখার সময় বাড়ছে মানেই পেটের মেদ ঝরছে, এমনটা ভেবে নেওয়া কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। তার জন্য দেহের ভঙ্গি বা পজ়িশন সঠিক হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১১
Share:

কত ক্ষণ ধরে এই প্লাঙ্ক পজ়িশন করতে হয় জানেন কি? ছবি: সংগৃহীত।

জিমে যেতে পছন্দ করেন না ঠিকই। কিন্তু পেটের মেদ ঝরাতে 'প্লাঙ্ক' ব্যায়ামটির ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছেন। তাই বন্ধুদের মুখে শুনে, ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে বাড়িতেই প্লাঙ্ক অভ্যাস করেন। প্রথমে ম্যাট পেতে তার উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। এ বার হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে যে গোটা দেহ তুলে ধরতে হয়, সে কথা জানেন। কিন্তু মুশকিল হল, এই প্লাঙ্ক পজিশন করতে গিয়ে বার বার কনুই ভেঙে মাটিতে পড়ে যান। কারণ, পুরো শরীরের ভার শুধু হাত এবং পায়ের কয়েকটি আঙুলের উপর রাখা খুব একটা সহজ নয়। দেহের ওজনের ব্যালান্স ধরে রাখাও কঠিন। কিন্তু কত ক্ষণ ধরে এই প্লাঙ্ক পজ়িশন করতে হয়, তা জানেন না অনেকেই।

Advertisement

একেবারে শুরুর দিকে প্রশিক্ষকেরা ৩০ সেকেন্ড সময় ধরে প্লাঙ্ক করতে বলেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখা যায়। তবে প্লাঙ্ক পোজ় ধরে রাখার সময় বাড়ছে মানেই পেটের মেদ ঝরছে, এমনটা ভেবে নেওয়া কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। তার জন্য দেহের ভঙ্গি বা পজ়িশন সঠিক হওয়া প্রয়োজন।

সাধারণ ‘প্লাঙ্ক’-এ অভ্যস্ত হয়ে গেলে ‘রিভার্স প্লাঙ্ক’ করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

প্লাঙ্ক করার সময় ঠিক কী কী মাথায় রাখা প্রয়োজন?

Advertisement

১) বেশি সময় ধরে প্লাঙ্ক করলেই যে তা খুব কাজে লাগবে, এমন নয়। যে কোনও ব্যায়াম করার প্রথম শর্ত হল, তা সঠিক ভঙ্গি মেনে করা। শুরুর দিকে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত প্লাঙ্ক পোজ় ধরে রাখতে পারলেই হবে।

২) প্লাঙ্ক অভ্যাস করে পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে আগে সময় নয়, ধরে ধরে দেহের প্রতিটি অঙ্গকে কাজে লাগাতে হবে। কোমর, নিতম্বের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রাখতে হয় কাঁধ, পিঠ এবং হাত বা কনুই। ভঙ্গিতে যেন কোনও ভাবেই ভুল না হয়। সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মধ্যে অভ্যাস করতে পারেন ‘ওয়ান লেগ প্লাঙ্ক’। ছবি: সংগৃহীত।

৩) বেশ কয়েক দিন সাধারণ প্লাঙ্ক করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে সাইড প্লাঙ্ক, রিভার্স প্লাঙ্ক কিংবা অন্যান্য পজ়িশন করে দেখতেই পারেন।

৪) যে কোনও ব্যায়ামের ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। না হলে তার কোনও প্রভাব শরীরে পড়বে না। প্রথম দিকে প্লাঙ্ক করার সময়ে গা, হাত, পায়ে খুব ব্যথা হয়। তাই বলে প্লাঙ্ক করার অভ্যাস বন্ধ রাখা যাবে না। রোজ না হলেও সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই ব্যায়াম করতেই হবে।

৫) শারীরিক কসরত করা ভাল। তবে শরীরের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া মোটেই ভাল নয়। তাই শরীরচর্চা করলেও শরীর ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। সবাই কঠিন শরীরচর্চার ধকল সহ্য করতে পারে না। তাই হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement