প্রতীকী ছবি।
ঘরে বসেই চলছে স্কুল। খেলা থেকে গানবাজনার শিক্ষাও হচ্ছে অনলাইনে। বাইরে বেরোনো বন্ধ। ফলে হাঁটাচলা প্রায় করছে না শিশু। এর প্রভাব যেমন তার মনের উপরে পড়ছে, তেমনই পড়ছে শরীরেও। অতিমারির জেরে কত রকম ক্ষতি হচ্ছে, তা ধীরে ধীরে চোখে পড়ছে সকলের। আর তা নজরে পড়তেই বিশেষ ভাবে চিন্তা বেড়েছে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে।
অতিমারির এই সময়ে শিশুদের ওজন বাড়ার সমস্যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভারতে তা দেখা দিচ্ছে বড় আকারে। কারণ, ব্যায়াম বা খেলার জন্য বেরোনোর সুযোগ বিশেষ ঘটছে না এখানে।
এমন ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা কী ভাবে যত্ন নেবেন শিশুর?
প্রতীকী ছবি।
নিয়মে বাঁধা
শিশুর শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় বার করুন। তার স্কুল এবং নিজের অফিসের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে রোজ অন্তত ২০ মিনিট হাতে রাখুন। শিশুর একা একা বাড়িতে ব্যায়াম করতে ভাল না লাগতে পারে। তাকে সঙ্গ দিন। নিজের এবং সন্তানের শরীর ভাল থাকবে এতে।
খাওয়া
কাজের মাঝে খাই খাই করে মন। বাড়িতে কিছু করার না থাকলেও অনেক সময়ে তেমন ঘটে। আর তখনই যাবতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকে মানুষ। বার্গার, ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন। শিশুও তবে সে সব পাবে না হাতের কাছে। বাড়িতে বোতলবন্দি নরম পানীয় আনাও কমিয়ে দিন। তাতেও সমস্যার সমাধান খানিকটা হবে। এ সবের বদলে ফল, বাদাম, দুধ— এমন ধরনের খাবার খাওয়ান।
ফোন-টিভি
বাবা-মা দিনভর কাজে ব্যস্ত। শিশুরও বাইরে খেলতে যাওয়া নেই। ফলে লেখাপড়া শেষ হলেই টিভি কিংবা ফোনে মগ্ন থাকে সন্তান। এমন ছবি দেখা যায় ঘরে ঘরে। শিশুকে সে সব যন্ত্র ব্যবহার করতে দিয়ে নিজেদের মতো শান্তিতে কাজ করার সুযোগ পান বাবা-মাও। কিন্তু তেমন করলে চলবে না। ফাঁকা সময়ে অল্প অল্প করে বাড়ির কাজ করার অভ্যাস করান শিশুকে। তা হলে এক জায়গায় বসে থাকার প্রবণতা কমবে।
এই কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে শিশুদের স্থূলতার সমস্যা।