বসার ঘরটি কি ছোট? ছবি: সংগৃহীত।
নিজের বাড়ি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার মধ্যে আলাদাই অনুভূতি রয়েছে। ঘরের প্রতিটি কোণ সযত্নে সাজানোর পর দু’চোখ ভরে সেই সৌন্দর্যের স্বাদ নেওয়া সময়ে অদ্ভুত আনন্দ হয়। অন্দরসজ্জার উদ্দেশ্য তো শুধু অতিথি আপ্যায়ন নয়, বাড়িঘর পরিপাটি করে রাখলে ভাল থাকে মনও। অনেকেই শোয়ার ঘরটি সাজাতে সৃজনশীল ভাবনা বেশি খরচ করেন। অথচ বাড়িতে ঢোকামাত্রই চোখে পড়ে বসার ঘরটি। অফিস থেকে ফিরে দু’দণ্ড বিশ্রাম নেওয়া থেকে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া— বসার ঘরই তো সাক্ষী থাকে সব কিছুর। তাই সেই ঘরটি যত্ন নিয়ে সাজানো জরুরি। নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরির সময়ে অনেকেই শোয়ার ঘরটি বড় করতে বসার ঘর ছোট করেন। তবে বসার ঘর যত ছোটই হোক, বুদ্ধি খরচ করে সাজালে সকলের তারিফ কুড়িয়ে নেওয়া এমন কিছু কঠিন হবে না।
বসার ঘর ছোট হলে যে ভাবে সাজাবেন। ছবি: সংগৃহীত।
যা অপ্রয়োজনীয়, তা সরিয়ে ফেলুন
প্রথমে নিজে এক বার ভাল করে বসার ঘরের উপর চোখ বুলিয়ে নিন। যে জিনিস কিংবা আসবাবপত্রগুলি কম প্রয়োজনীয় বলে মনে হচ্ছে, সেগুলি আগে সরিয়ে ফেলুন। বসার ঘরে আসবাবের ভিড় যত কম হবে, ততই ভাল। একটা বড় সোফা এবং দু’-একটা শৌখিন মোড়া রাখলেই যথেষ্ট। বরং সোফার উপরে আলগোছে পড়ে থাকা কুশনগুলিকে রঙিন কভারে ভরে দিতে পারেন। ঘর উজ্জ্বল দেখাবে।
মেঝেতে থাক ম্যাট্রেস
বসার ঘর যদি বেশ ছোট হয়, তা হলে সোফার দরকার নেই। বরং বসার ঘরের এক কোণে ম্যাট্রেস পেতে দিতে পারেন। তা হলে আর আলাদা করে চেয়ার কিংবা মোড়া কোনও কিছুরই দরকার হবে না। জায়গাও অনেকটা বাঁচবে। ম্যাট্রেসের উপর রঙিন চাদর বিছিয়ে দিন। মাঝেমাঝে ক্লান্ত হয়ে ফিরে বসার ঘরের ম্যাট্রেসে গড়াগড়ি খেতে মন্দ লাগবে না।
বসার ঘরের টেবিলটি হোক কাচের
বসার ঘরের ঠিক মাঝখানে একটি কাচের টেবিল রাখতে পারেন। কাচ ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তা ছাড়া বসার ঘরে কাচের টেবিল থাকলে বেশ সুবিধাও হবে। টেবিলের উপর চাইলে একটি ফুলদানিও রাখতে পারেন।
বসার ঘরে থাক বই, ছবি
বাড়িতে ঢুকেই যে ঘরে চোখ পড়বে, তার সাজসজ্জায় সৃজনশীলতার ছোঁয়া থাকা জরুরি। বইয়ের তাকও বসার ঘরে রাখতে পারেন। সেখানে আপনার পছন্দের বইগুলি সাজিয়ে রাখুন। ভাল দেখাবে। কিছু গাছও ঘরে রাখতে পারেন। তাতেও সুন্দর দেখাবে চারপাশ।