কোন কোন এসেনশিয়াল তেল দিয়ে কীটনাশক বানাতে পারবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষায় এমনিতেও ভিজে ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পোকামাকড়ের উৎপাত বাড়ে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মশা তাড়াতে গাদা গাদা রাসায়নিকের ব্যবহার করি কমবেশি সকলেই। দোকান থেকে কেনা মশা মারার কয়েলের ধোঁয়া ফুসফুসের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর। আবার যে সব স্প্রে পোকা তাড়াতে ব্যবহার করা হয়, সেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে। এই সব কীটনাশক বা ওষুধের রাসায়নিক শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে, যা শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। তা হলে উপায় কী?
রাসায়নিক এড়িয়ে বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে সহজেই কিন্তু পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দারচিনি, লবঙ্গ এ সবের চড়া গন্ধ বেশির ভাগ কীটপতঙ্গ সহ্য করতে পারে না। তাই এ সব ব্যবহার করেও কীটপতঙ্গকে দূরে রাখা যায়। আর যদি কিছু এসেনশিয়াল তেল থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। পোকামাকড়ের যম একদম প্রাকৃতিক দাওয়াই তৈরি হয়ে যাবে ঘরেই।
ঘরে রাখতে পারেন লেমন-ইউক্যালিপটাস তেল। ১০ মিলিলিটার এই তেলের সঙ্গে ৯০ মিলিলিটারের মতো নারকেল তেল মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে ওষুধ। এর চড়া গন্ধে পোকামাকড় পালাবে।
ল্যাভেন্ডার তেলের সুগন্ধও পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। ঠিক আগের পদ্ধতিতে কোনও ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার তেল ভাল করে মিশিয়ে একটু আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে দিন। তার পর ঘরের আনাচা কানাচে ছড়িয়ে দিন এই তেল। মশামাছির উপদ্রপ কমবে খুব তাড়াতাড়ি।
জলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তার পর সেই মিশ্রণ ঘরে ছড়িয়ে দিলেও কাজ হবে তাড়াতাড়ি। আবার সিট্রোনেলা তেলও ব্যবহার করতে পারেন। অর্ধেক জল আর অর্ধেক অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা সিট্রোনেলা তেল মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। এই তেল পোকামাকড় থেকে ঘরকে সুরক্ষিত রাখবে।