দুর্গাপুজো মিটতেই এ বার দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার পালা। রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। অনেক বাড়িতেই খুব জাঁকজমক করে লক্ষ্মীপুজো হয়। দশমী মিটতেই লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। নাড়ু তৈরি করা থেকে মিষ্টি বানানো, সব তো আর পুজোর আগের দিন করলে চলে না। আগে থেকে কাজ এগিয়ে না রাখলে দিনের দিন মুশকিলে পড়তে হয়। প্রতিমা থেকে ফলমূল, সবই কেনা হয়ে গিয়েছে অনেকের। তবে বড় কাজ বলতে বাকি আছে পুজোর জায়গাটি মনের মতো করে সাজানো। লক্ষ্মীদেবী বসবেন যেখানে, সেই জায়গাটির সাজ হতে হবে নিপুণ। তা ছাড়া, লক্ষ্মীপুজোয় বাড়িতে অতিথির আনাগোনাও কম হয় না। বাড়িতে উৎসবের আবহ তৈরি করতে কেমন হবে অন্দরসজ্জা?
১) পুজোর সঙ্গে আলপনার সম্পর্ক চিরন্তন। তাই পুজোর আগের রাতেই সারা বাড়ি ভরিয়ে তুলুন আলপনার নকশায়। সাদা আলপনার মাঝে ব্যবহার করতে পারেন লাল রঙের ছোঁয়া। ইদানীং অবশ্য প্লাস্টিকের স্টিকার ব্যবহার করেন অনেকে। তবে সময় থাকলে আঙুল দিয়েই আলপনার নকশা তুলুন। হাতে সময় কম থাকলে বাড়ির দুয়ারে আর দেবীর আসনের সামনে জায়গাটুকু আলপনায় সাজিয়ে তুলুন।
২) বাড়ির যেখানে পুজোর আয়োজন করেছেন, সেই জায়গাটি মন দিয়ে সাজান। পুজো পুজো আবহ তৈরি করতে থার্মোকলের অস্থায়ী একটি মঞ্চ তৈরি করে ঠাকুরের মূর্তিটি তার উপর বসান। তার পর থার্মোকল কেটে বিভিন্ন নকশাও তৈরি করে নিতে পারেন। তবে বাড়িতে জলচৌকি থাকলে আলাদা করে ঠাকুরের বসার জায়গা তৈরি করার দরকার নেই। জলচৌকির উপরেই আলপনা দিয়ে ঠাকুর বসাতে পারেন।
বাড়িতে উৎসবের আবহ তৈরি করতে কেমন হবে অন্দরসজ্জা? ছবি: সংগৃহীত।
৩) লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বাড়িময় আলোর রোশনাইয়ে সাজিয়ে তুলুন। আলো দিয়ে মুড়ে ফেলুন গোটা বাড়ি। পুজোর জায়গা, বারান্দা টুনি বাল্ব দিয়ে সাজাতে পারেন। তা ছাড়া, এখন নানা রকম রঙিন আলো পাওয়া যায় দোকানে। সেগুলি ঘর সাজাতে কাজে লাগাতে পারেন। এখন ইলেকট্রনিক প্রদীপ কিনতে পাওয়া যায়, আসনের সামনের অংশটি সাজানোর জন্য সেই রকম প্রদীপও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) ফুল ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। লক্ষ্মীপুজোয় ঘর সাজান নানা রকম ফুল দিয়ে। ফুলের মালা গেঁথে টাঙিয়ে দিতে পারেন দেওয়ালে। ফুলের পাপড়ি দিয়েও তৈরি করতে পারেন রঙ্গোলি।
৫) বাড়ি সাজালেই হল না। বাড়িকে সুগন্ধে ভরিয়ে তোলাও জরুরি। পুজো-পার্বনের দিনে বাড়িময় ধূপের গন্ধ, ধুনোর গন্ধ বেশ ভাল লাগে। তাই ঘর সাজানোর পাশাপাশি সুগন্ধি ধূপও কিনে রাখুন। কেবল পুজোর সময়ই নয়, সারা দিনই বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে রাখুন।