ঘরের দেওয়ালের রঙের সঙ্গে পর্দা আর বিছানার চাদরের রঙের সামঞ্জস্য থাকলে ঘরের সৌন্দর্য এক অনন্য মাত্রা পায়। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরকে আরও সুন্দর ও মনোরম করে তোলার জন্য পর্দা ও বিছানার চাদরের রং নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘরের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পর্দা ও বিছানার চাদরের রং নির্বাচন করলে আবহ আরও মনোরম হয়ে উঠবে।
আপনার ঘরের রঙের সঙ্গে পর্দা ও বিছানার চাদরের রং মেলাবেন কী ভাবে?
১) রঙের চক্র ব্যবহার: এই কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে রঙের চক্রের ব্যবহার। রঙের চক্র হল একটি ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন রঙের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে। ঘরের রঙের পরিপূরক, সম্প্রীত, বা বিপরীত রং বিছানার চাদর বা পর্দার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরিপূরক রং: পরিপূরক রং হল রঙের চক্রে একে অপরের বিপরীতে অবস্থিত রং। এই রঙগুলি একসঙ্গে ব্যবহার করলে ঘরে একটি উজ্জ্বল ভাব তৈরি হয়।
সম্প্রীত রঙ: সম্প্রীত রং রঙের চক্রে একে অপরের পাশে অবস্থিত রং। এই রঙগুলি একসঙ্গে ব্যবহার করলে একটি শান্ত ভাব তৈরি হয়।
বিপরীত রং: রঙের চক্রে একে অপরের থেকে তিনটি রং দূরে অবস্থিত রং। এই রঙগুলি একসঙ্গে ব্যবহার করলে ঘরে একটি ঝলমলে ভাব তৈরি হয়।
রঙের চক্রের ব্যবহার করে ঘরের রঙের সঙ্গে পর্দা ও বিছানার চাদরের রং মেলানো সহজ হয়। ছবি: ফ্রিপিক
২) ঘরের আকার: ছোট ঘরের জন্য হালকা রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা ভাল। কারণ হালকা রঙে ঘরকে আরও বড় দেখায়। বড় ঘরের জন্য গাঢ় রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) আলোর পরিমাণ: ঘরে যদি প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক আলো থাকে, তাহলে গাঢ় রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে। কম আলোযুক্ত ঘরের জন্য হালকা রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা ভাল।
৪) জ্যামিতিক নক্সার ব্যবহার: দেওয়াল যদি এক রঙের হয়, কোনও জ্যামিতিক নক্সা বা প্যাটার্নযুক্ত পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করলে ঘরের সজ্জায় এক অন্য মাত্রা যুক্ত হতে পারে। বিছানার চাদর ও পর্দায় একই ধরনের বা সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্যামিতিক নক্সা ব্যবহৃত হতে পারে।
৫) আসবাবের রং: পর্দা ও বিছানার চাদরের রং নির্বাচন করার সময়ে আপনার আসবাবপত্র ও অন্যান্য সজ্জার জিনিসপত্রের রংও বিবেচনা করতে হবে।
তবে ঘর সাজানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত পছন্দ। যে রংগুলি পছন্দ সেগুলি ব্যবহার করে ঘর সাজিয়ে ফেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মন ভাল থাকে এবং নিজের ঘরটিও মনোরম লাগে।