টবে পেঁপে ফলাতে হলে কী কী পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত বাগানেই পেঁপে গাছ দেখে অভ্যস্ত বেশির ভাগ মানুষ। ইচ্ছে থাকলেও বাড়িতে আলাদা কোনও জায়গা নেই বলে পেঁপে ফলাতে পারছেন না? জানেন কি, টবেই দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে গাছটি। ফলনও হয় ভাল। শুধু জানতে হবে গাছটির পরিচর্যার নিয়মকানুন।
টব: মাটি বা প্লাস্টিকের যে কোনও টব, ড্রাম বেছে নিতে পারেন পেঁপে ফলানোর জন্য। সাধারণত গাছটি বেশ লম্বা হয়। তাই একটু মজবুত ধরনের এবং বড় আকারের টব নেওয়া ভাল। শুরুতে অন্তত পক্ষে ১৮ ইঞ্চির টব জন্য বেছে নিতে হবে। গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বড় টবে স্থানান্তরিত করতে হবে। চাইলে, শুরুতেই ২৪-৩০ ইঞ্চির টবে চাষ শুরু করতে পারেন।
চারা: পেঁপের বীজ শুকিয়ে তা মাটিতে ছড়িয়ে তা থেকে চারা পেতে পারেন। আবার চাইলে নার্সারি থেকে ভাল মানের পেঁপে চারা কিনে আনতে পারেন।
মাটি: পেঁপে গাছ বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টি পাবে মাটি থেকেই। তাই সেটি আগে তৈরি করা দরকার। পেঁপে গাছের জন্য জল দরকার ঠিকই, তবে গোড়ায় তা জমলে ক্ষতি হতে পারে। তাই, টবের জল নিকাশি ব্যবস্থা যেন ভাল হয়। মাটি প্রস্তুতির জন্য ৫০ ভাগ মাটি, ৪০ ভাগ গোবর সার, ১০ ভাগ বালি মিশিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া পটাশ, ইউরিয়ার মতো সারও ১ শতাংশ করে ব্যবহার করতে পারেন।
রোদ: পেঁপে গাছ বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট আলো-হাওয়া প্রয়োজন। অন্তত ৬ -৮ ঘণ্টা সূর্যালোক আসে, এমন জায়গায় টবটি রাখা দরকার।
জল: পেঁপে গাছের মাটিতে আর্দ্রতা প্রয়োজন। তবে টবে জল জমে থাকলে তা ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।
সার: পেঁপে গাছ বাড়তে শুরু করলে সার দিতে হবে। শুকনো গোবার সার, নিম কেক নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাটিতে মেশাতে হবে। মাটিতে যাতে নাইট্রোজেন এবং ফসফরাসের ঘাটতি না হয়, তা দেখা দরকার।
ছাঁটতে হবে: পেঁপে গাছের পচে যাওয়া পাতা, ডাল-পালা নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছেঁটে দিতে হবে। গাছ যদি হেলে যায়, প্রয়োজন মতো লাঠি পুঁতে দিতে হবে। যাতে সেটি সোজা ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
ফলন: মোটামুটি ৮-১২ মাসেই ফলন হওয়ার কথা। গাছের চারা, পরিবেশের উপর তা নির্ভর করে।