ঘরের প্রতিটি কোণা হবে উষ্ণ ও আরামদায়ক, কী ভাবে সাজ বদলাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত মানেই উৎসবের মরসুম। আলতো পায়ে নতুন বছরের দিকে এগিয়ে চলা। বন্ধুবান্ধবদের আনাগোনা, আড্ডা-অনুষ্ঠান চলতেই থাকবে। তাই ঘরের সাজ যেন উষ্ণ, আরামদায়ক অনুভূতি দেয়, সে দিকেই নজর দিতে হবে। আবার ঘরে যদি পার্টি বা সান্ধ্য আড্ডা লেগেই থাকে, তা হলে অন্দরসজ্জা এমন ভাবে করা ভাল, যাতে একই উপকরণ অদলবদল করে উৎসবের মরসুমে সাজিয়ে ফেলা যায়। ঘরে যা রয়েছে, তাতেই সামান্য আদলবদল করলেই স্বল্প খরচে ঘর সেজে উঠবে।
সবচেয়ে আগে বসার ঘরে সোফার কভার আর কুশন কভার বদলে ফেলুন। সোফার কুশনের জন্য বেছে নিন রঙিন কভার, বিশেষ করে লাল, বাদামি, উজ্জ্বল সবুজ বা কমলা রঙের কুশন কভার ঘরের আবহ পাল্টে দেবে। কারও বাড়িতে যদি কাঠের আসবাব থাকে, এ সময়ে পালিশ করিয়ে নেওয়া যায়। উজ্জ্বল কাঠের আসবাব ঘরে উষ্ণতার আমেজ আনে। বদলে ফেলুন পর্দাও।
গরমকালে বাঙালি বাড়িতে কার্পেট বা রাগ বেরোয় না। শীতে সে বাধা নেই। সুতরাং সুন্দর কার্পেট বা রাগ দিয়ে ঘর সাজানো যায়। বিছানা বা সোফার সামনের মেঝেতে বিছিয়ে দিন মোলায়েম কার্পেট। অতিথিরা এসে যেখানে বসবেন সেই বসার ঘর, শোয়ার ঘর, স্টাডি রুমের সাজ বদলে দেবে আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজ়ারবাইজ়ান, কাশ্মীরি কাজের কার্পেট। রং, নকশা, মোটিফের বুনটে এক একটি কার্পেট এক এক রকম গল্প বলে। আভিজাত্যের দিক থেকে বললে পার্সি আর কাশ্মীরি কার্পেটের কোনও বিকল্প নেই। নকশা, মোটিফে কাশ্মীরি সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকে। সুতি, উল, সিল্ক ইত্যাদি কার্পেটের অনেক ধরন। কোন কার্পেটের কারুকাজ কত সূক্ষ্ম ও ঘন তাই দেখেই কিনতে হবে। অবশ্যই নতুন কিনতে হলে পকেটের দিকেও খেয়াল রাখবেন।
বসার ঘরে যখন কার্পেট পাতবেন, কার্পেটটা যেন এমন ভাবে পাতা থাকে, যাতে সোফায় বসে পা কার্পেটের উপরে থাকে। বাথরুমে কিংবা রান্নাঘরের আশপাশে যেখানে ভিজে পায়ে বেড়িয়েই পা দিতে হয়, এমন জায়গায় কার্পেট রাখবেন না একেবেরেই।
এই সময়ে ফ্রিল দেওয়া বা ভেলভেটের বেডকভার ব্যবহার করা যায়। মানানসই বালাপোশ রাখলেও শয়নকক্ষের সাজে আসে অন্য মাত্রা। বসার ঘর বা শোয়ার ঘরে বিভিন্ন ধরনের আয়না ব্যবহার করতে পারেন। ঘর ছিমছাম সুন্দর দেখাবে। আর নানা রকম আলো ব্যবহার করে ঘরের বিভিন্ন জায়গাকে আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলুন। কিছু স্পটলাইট রাখা যায়। নানা আকারের ল্যাম্পশেড বেছে নিতে পারেন। চাইলে বাড়ির দেওয়ালে ঝোলাতে পারেন রঙিন লণ্ঠন।
সুগন্ধি মোম সাজিয়ে দিন বসার ঘরের সেন্টার টেবিলে। জমকালো কাজের কিংবা পুরনো ধাঁচের পেতলের ফুলদানি বসার ঘরে রাখলে সাজে আসবে নান্দনিক ছোঁয়া।