মন এবং শরীর দুই-ই ভাল রাখতে ঘরের বাতাস পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
বাড়ির প্রতিটি ঘর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখেন অনেকেই। সারা দিনের ক্লান্তি ঝে়ড়ে ফেলতে নিজের হাতে সাজিয়ে তোলা ঘরই সবচেয়ে স্বস্তির হয়ে ওঠে। মন ভাল রাখতে অন্দরসজ্জা গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু তো সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখলেই হল না, মন এবং শরীর দুই-ই ভাল রাখতে ঘরের বাতাস পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। ঘরের বাতাস যাতে দূষিত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
ঘরের ভিতরের বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে কোন বিষয়গুলিতে নজর দেবেন?
হাওয়া চলাচল
ঘরের ভিতরের হাওয়া চলাচল যাতে ভাল ভাবে হয়, সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। বদ্ধ ঘরের ভিতরে অনেক ক্ষণ থাকলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে, যা শরীরের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই বায়ু চলাচলের পথ ফাঁকা রাখতে হবে। তার জন্য ঘরের দরজা-জানলা যতটা সম্ভব খুলে রাখা প্রয়োজন। যাতে বাইরের মুক্ত বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে। বাইরের আলো-হাওয়া ঘরে আসা প্রয়োজন।
সবুজ গাছ ঘরে রাখলে শরীর তো বটেই, মনও ভাল হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
ধূমপান নয়
ঘরের ভিতর ধূমপান করবেন না। এই অভ্যাস এমনিতেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তার মধ্যে ঘরের ভিতরে ধূমপান করলে, দূষণের মাত্রা বেড়ে় যেতে পারে। ধূপের ধোঁয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ধূপ জ্বালিয়ে ঘরে বেশি ক্ষণ রেখে দেবেন না। এর ফলে ঘরের মধ্যে একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
কার্পেট সরান
ঘরে কার্পেট বিছিয়ে রাখেন অনেকেই। কার্পেট ঘরের দূষণ বাড়িয়ে তোলে। কার্পেটে নানা ধুলো-ময়লা জমে থাকে। সেগুলি বাতাসে মিশে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করে। তাই একান্তই কার্পেট পাততে চাইলে প্রতি দিন এক বার করে পরিষ্কার করে নিন। তাতে ধুলো জমতে দেবেন না।
গাছ লাগান
ঘর সাজানোর অন্যতম উপকরণ বাহারি ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’। সবুজ গাছ ঘরে রাখলে শরীর তো বটেই, মনও ভাল হয়ে যায়। বহু গাছই বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয়। ঘরের লাগোয়া বারান্দায় কিছু সবুজ গাছ রাখতেই পারেন। এতে বাতাস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।