যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের ভরসা হতে পারে নানা ধরনের শাক ও সব্জি। ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ থাকতে সবুজ শাকসব্জির গুরুত্ব অপরিসীম। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো থেকে স্থূলতার সমস্যা— সব কিছুর সমাধান লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জিতে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের ভরসা হতে পারে নানা ধরনের শাক ও সব্জি। মিনারেলস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্কের মতো পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর শাকসব্জি হতে পারে ওজন কমানোর অন্যতম হাতিয়ার। বাজারে স্বাস্থ্যকর শাকসব্জির অভাব নেই। তবে রোগা হওয়ার জন্য কোনগুলি বেছে নেবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
ওজন কমাতে সাহায্য করে, রইল তেমন কয়েকটি সবুজ শাকসব্জির সুলুকসন্ধান:
পালংশাক
এই শাকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফলে হজমশক্তির উন্নতির জন্য পালংশাক অব্যর্থ। হজম যত দ্রুত এবং ভাল করে হবে, রোগা হওয়ার পথ তত প্রশস্ত হবে। বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন যাঁরা, এই শাক তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ব্রকোলি
শীত আসছে। তার আগেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে এই সব্জিতে। ব্রকোলিতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও দারুণ কার্যকরী। এমনকি ডায়াবিটিসের সমস্যা কমাতেও ব্রকোলি হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। ব্রকোলিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। জলের পরিমাণও বেশি। রোগা হওয়ার জন্য এই দু’টি বিষয় একান্ত ভাবে জরুরি।
পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর শাকসব্জি হতে পারে ওজন কমানোর অন্যতম হাতিয়ার। ছবি: সংগৃহীত
লেটুস
ওজন কমানোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল লেটুস পাতা। ফাইবার এবং জল-সমৃদ্ধ এই পাতা বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
পার্সলে পাতা
পার্সলে পাতার একটি বৈশিষ্ট্য, এটি একটি ডাইইউরেটিক খাবার। অর্থাৎ এটি দেহের জলীয় ভার কমাতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি, এই পাতায় রয়েছে ইউজিনল নামের একটি তেল। এই তেল বিপাক হার বাড়ায়।
ধনেপাতা
বাঙালির অতিপরিচিত ধনেপাতা ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিড-সমৃদ্ধ। তা ছাড়াও এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান, যা মেদ ঝরাতে কাজে আসতে পারে। এই উপাদানটিও বিপাক হার বাড়িয়ে তোলে।