অন্দর সজ্জায় থাক নিজস্ব রুচি-পছন্দের ছাপ। ছবি: সংগৃহীত।
ঘর সাজাবেন কেমন ভাবে, তা নিয়েই চিন্তা! তবে নির্দিষ্ট ব্যাকরণ না মেনেও, নিজের মনের ভাল লাগা দিয়ে সাজিয়ে ফেলতে পারেন ঘরটি। পেশাদারের ছোঁয়া না থাকলেও, সেই ঘরে মিশে থাকবে আপনার রুচি- পছন্দ। তবে নির্দিষ্ট ব্যাকরণ না মানলেও, কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে গৃহসজ্জা আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
নিজস্বতা
প্রতিটি বাড়ির নিজস্ব সজ্জা থাকে। পর্দার রং, শোফার কভার, কুশন, ঘরের আনাচ-কানাচে রাখা জিনিসপত্র দিয়ে গৃহসজ্জার মূল কারিগরের রুচি-পছন্দ ফুটে ওঠে। প্রতিটি মানুষের রুচি আলাদা। সেই রুচির ছাপ থাকুক নিজের ঘরের সজ্জায়। যে রং, নকশা আপনার পছন্দ, যে ধরনের কারুকাজ মনে ধরে তা দিয়েই ঘর সাজানো যেতে পারে। এ জন্য কেমন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস পাওয়া যায়, কোনটা দিয়ে সাজালে কেমন লাগবে, পড়াশোনা করে নিতে পারেন।
দৃষ্টিকোণ
চোখেরও নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থাকে। একটি ঘরে ঢুকলে প্রথমেই যে জায়গাটি চোখে পড়ে সেই জায়গাতেই সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলি রাখুন। সেই দেওয়ালে ভাল তৈলচিত্র ব্যবহার করা যেতে পারে, কোনও মনীষীর মূর্তি বা ছবি অথবা কোনও পছন্দের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি রাখতে পারেন। সেখানে কোনও টেবিলে ফুলদানি, মূর্তি বা ঘর সাজানোর পছন্দসই জিনিস রাখা যেতে পারে। ঘরে ঢুকে অতিথি যেখানে বসবেন সেখান থেকে কোন দিকে দৃষ্টি যেতে পারে সেটা নিজে বসে দেখুন। সেই মতো ঘরের নির্দিষ্ট জায়গাগুলি সাজিয়ে তুলুন।
রঙে বৈচিত্র্য
হালকা রং ব্যবহার আভিজাত্যের ছোঁয়া আনতে পারে অন্দরসজ্জায়। ছবি: সংগৃহীত
মরসুম অনুযায়ী কুশন থেকে পর্দা, বিছানার চাদরের রঙে বৈচিত্র্য আানতে পারেন। তবে সাদা, ঘিয়ে, বেজ- এ ধরনের রঙের উপর কুশন বা পর্দা পছন্দ করলে ঘরে একটি আভিজাত্যপূর্ণ ছোঁয়া ফুটে ওঠে। অতিরিক্ত উজ্জ্বল রং কখনও কখনও চোখের পক্ষে আরামদায়ক হয় না। তবে ওই যে ব্যাকরণ, সব সময় মানতেই হবে এমনটা নয়। দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা বৈপরীত্য এনে পর্দা বেছে নিতেই পারেন। তবে গাঢ় কমলা, টকটকে লাল -- এমন ধরনের রং বাছাই না করাই ভাল।
গৃহসজ্জায় রঙের ছোঁয়া
রকমারি মূর্তি থেকে মার্বেলের ফুলদানি, কাচের মোমদানি-সহ অনেক কিছুই ঘরকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাচেরি মোমদানি থেকে মূর্তি, তাতেও থাকতে পারে রঙের ছোঁয়া। যেমন রাজস্থানির হস্তশিল্প ভীষণ রঙিন হয়। রঙিন কৌটো থেকে আরও অনেক কিছুই রাখা যেতে পারে।
গৃহসজ্জায় রঙের ছোঁয়া অন্য মাত্রা আনতে পারে। ছবি: ,সংগৃহীত
সবুজের স্পর্শ
সজীব স্পর্শ মনোজগতেও প্রভাব ফেলে। অন্দরসজ্জায় রকমারি গাছ ব্যবহার করুন। এতে ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত হবে আবার চোখেরও আরাম হবে। শুধু সবুজ নয়, টাটকা রঙিন ফুল ফুলদানিতে রেখে ঘরকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। পিতল বা মিনাকারির কাজ করা ফুলদানিতে সাদা গোলাপের স্পর্শ বা রঙিন ফুলদানিতে হলুদ গোলাপের ছোঁয়া ঘরের রূপ বদলে দিতে পারে।