ফেলে দেওয়া জলের হরেক ব্যবহার। ছবি: শাটারস্টক।
রান্নাঘরে অনেক সময় অজান্তেই আমরা অনেকটা জল অপচয় করে ফেলি। রান্নার প্রতিটি পর্যায়ে জলের ব্যবহার করা হয়। ভাত, ডাল, চাউমিন, পাস্তা কিংবা সব্জি সেদ্ধ হয়ে গেলে আমরা সেই জল ছেঁকে ফেলে দিই। কিন্তু যদি ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে সেই জল জমিয়ে রেখে দেন, তা হলে পরে নানা কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ভাবছেন, কী ভাবে?
১) শাক-সব্জি, ফল, চাল, ডাল ধুয়ে সেই জল ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দেওয়া যায়। লিকার চা বানানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই বেশি হয়ে যায়, চা পাতা সমেত সেই জলও গাছের পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারেন।
২) ভরতি জলের বোতল গাড়িতে রেখে দিয়ে আমরা ভুলে যাই। দু’দিন পর গাড়ি খুলে দেখলে মনে পড়ে সেই কথা। সেই জল ফেলে না দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করার কাজে, বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করতেই পারেন।
৩) কড়াইতে পোড়া লাগলে সেই দাগ পরিষ্কার করতে সময় ও জল দুইয়েরই অপচয় হয়। এ ক্ষেত্রে সমান্য জল গরম করে নিয়ে কড়াইতে আধ ঘণ্টা মতো রেখে দিন। দেখবেন, অল্প সময়েই সেই দাগ দূর করা সম্ভব হবে। জলের অপচয়ও কমবে।
৪) চাউমিন, পাস্তা সেদ্ধ করে সেই জল আবার রান্নার কাজে লাগাতে পারেন। পিৎজার ময়দা মাখার সময়ে যদি নুন আর তেল মেশানো চাউমিন সেদ্ধ করা জলটি ব্যবহার করেন, তা হলে পিৎজার রুটি হবে তুলেতুলে নরম। ডাল রান্না করার আগে ভিজিয়ে রাখতে হয়। যদি সাধারণ জলের বদলে চাউমিন সেদ্ধ করা গরম জলে কিংবা ভাতের ফ্যানে ডাল ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে ডাল রান্না করতে বেশি সময় লাগবে না।
৫) ভাতের ফ্যান ফেলে না দিয়ে সেই ফ্যান রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দু’চামচ ভাতের ফ্যানের সঙ্গে এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে, ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতেও এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।