কম খরচেই বদলে ফেলুন ঘরের সাজ। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর কেনাকাটা প্রায় গুছিয়ে এনেছেন অনেকেই। পুজোয় কোন দিন কোন পোশাক পরবেন, সেটাও ঠিক করে ফেলেছেন কেউ কেউ! তবে কেবল নিজে সাজলেই তো আর হল না! উৎসবের মরসুমে বাড়ির অন্দরসজ্জাতেও বদল আনতে হবে। পুজোর আগে কেনাকাটা কিংবা প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনার পর পকেটে বেশ টান পড়ে। তাই বাড়ির সাজগোজের জন্য খুব বেশি খরচ করার আর বাজেট থাকে না। তবে বুদ্ধি খরচ করলে অল্প বাজেটেই অন্দরসজ্জায় আনতে পারেন নতুনত্বের ছোঁয়া। কী ভাবে করবেন? রইল তার হদিস।
১) উৎসবের মরসুমে বাড়িতে আনুন রঙিন ছোঁয়া। সোফার কভার বদলানোর প্রয়োজন নেই, বরং উজ্জ্বল রঙের কয়েকটি কুশন কভার কিনে নিন। পর্দাগুলো বদলে ফেলতে পারেন। বসার ঘরের দেওয়ালে কয়েকটি রংবাহারি ছবি-সহ ফোটোফ্রেম ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পাতাবাহার গাছ দিয়েও বসার ঘর সাজাতে পারেন।
২) পুজোর আগে আলো দিয়েও বাড়ি সাজিয়ে ফেলতে পারেন। বসার ঘরের জন্য একটি সুন্দর ল্যাম্পশেড কিনতে পারেন। নানা রঙের টুনি দিয়েও বসার ঘর সাজাতে পারেন।
৩) ঘরের আসবাবপত্রগুলির একটু স্থানবদল করলেও বাড়ির সাজে নতুনত্ব আসে। নতুন গৃহসজ্জার জিনিস না কিনে পুরনো জিনিসগুলির জায়গা পরিবর্তন করলেই নতুন লাগবে ঘর। বাড়িতে কাঠের আসবাবপত্র থাকলে পুজোর আগে পালিশ করিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া কয়েকটি ফুলদানি, ফোটোফ্রেম, সো-পিস কিনেও ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
পুজোর আগে আলো দিয়েও বাড়ি সাজিয়ে ফেলতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পুরনো ট্রাঙ্ক পড়ে রয়েছে বাড়িতে? সেগুলি রং করে রিসাইকেল করে ফেলতে পারেন। পুরনো কাপড়ের ট্রাঙ্ক যদি সুন্দর করে রং করতে পারেন, তা হলে বসার ঘরের সেন্টার টেবিল হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে স্প্রে রং ব্যবহার করতে পারেন।
৫) বসার ঘরের রং পরিবর্তন করতে অনেক খরচ পড়ে যায়। বদলে যে কোনও একটি দেওয়ালের ভোলবদল করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নিজেই স্টেনসিল কিনে রং করে ফেলতে পারেন। রং-তুলি আর স্টেনসিলের কারসাজিতেই নতুন হয়ে যাবে বসার ঘরের ব্যাকগ্রাউন্ড।