গরমে বড্ড তাড়াতাড়ি যে কোনও শাক-সব্জি বা খাবার নষ্ট হয়ে যায় বা শুকিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
শীতের মতো নানা রকম সব্জি দেখা যায় না গরমে। তবে গরমের কিছু সব্জিও মন্দ নয়। ঠিক করে রান্না করে নিয়মিত মরসুমি সব্জি খেলে এই সময়েশরীর ঠান্ডা থাকে। কিন্তু গরমে বড্ড তাড়াতাড়ি যে কোনও শাক-সব্জি বা খাবার নষ্ট হয়ে যায় বা শুকিয়ে যায়। তাই হেঁশেল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সকলকে। এই সময়ে তাই কিছু ঘরোয়া টোটকা জানা থাকলে, রান্না করতে সুবিধা হয়। শুধু টোটকাগুলি কাজের সময়ে মনে রাখতে হবে। আপনার যদি সব কথা মাথায় রাখা মুশকিল হয়, তাহলে একটি কাগজে লিখে ফ্রিজে বা রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে টাঙিয়ে রাখতে পারেন। যাতে দরকারের সময়ে হাতের কাছে পেয়ে যান।
১। যে কোনও সব্জি শুকিয়ে গেলে কাটার আগে অন্তত আধ ঘণ্টা লেবু জলে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন অনেকনটা টাটকা হয়ে গিয়েছে।
২। লেবু থেকে রস বার করতে অসুবিধা হলে ব্যবহার করার আগে ঈষদুষ্ণ গরম জলে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর লেবুর রস চিপে নিন। এ ভাবে রাখলে অনেক বেশি রস বার হবে।
হেঁশেল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সকলকে। ছবি: সংগৃহীত
৩। নারকেল কেটে, অর্ধেক অংশ দু’-তিন দিন পর খাবেন? তাহলে নারকেলের ঝুঁটির দিকটা উপরের দিকে করে রেখে দিন। যদি নারকেল টুকরো করে কাটা বেশি পড়ে থাকে, তা হলে টুকরোগুলি নুনের শিশিতে রেখে দিন। দু-তিন দিন দিব্যি থাকবে।নারকেল কোরা ভাল রাখতে তা কড়া রোদে সারা দিন রেখে বায়ুবন্ধ কাচের শিশিতে রেখে দিলে ভাল থাকবে।
৪। কফির লিকার বেশি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফ্রিজে রাখার জায়গা নেই। দু-চামচ চিনি মিশিয়ে বাইরেই রেখে দিতে পারেন। পর দিন ফের গরম করে নিলেই চলবে।
৫। গরমকালে দুধ কেটে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে সেই দুধে পাত্র আরেকটি জল ভরা পাত্রের মধ্যে রাখুন। তাহলে সহজে কেটে যাবে না। যদি মনে হয় জ্বাল দেওয়ার সময়ে দুধ কেটে যেতে পারে, তা হলে দুধ ফোটানোর আগে একটু খাওয়ার সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন।