আধুনিক বাড়ির সাজের অন্যতম সঙ্গী হল কুশন। ছবি: সংগৃহীত
পুজো আসতে আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। নিজের সাজপোশাকের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। তবে পুজোতে কেবল নিজে সাজলেই হল না, সাজিয়ে তুলতে হবে বাড়িঘরও।
আধুনিক বাড়ির সাজের অন্যতম সঙ্গী হল কুশন। সোফা থেকে শুরু করে বিছানাতেও কুশন দিয়ে সাজানো যায়। এতে দেখতেও ভাল লাগে, সঙ্গে আরামও বজায় থাকে। তবে সব ঘরের জন্য সব কুশন নয়। আবার কুশন কভারও বাছতে হবে ভেবেচিন্তে। ইদানীং অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইন, হরেক ধরনের কুশন কভার পাওয়া যায় সর্বত্র। বাড়ির সাজগোজের সঙ্গে মানানসই হতে হবে কুশন কভারও।
কুশনের রং বাছতে হবে আগে। এমন কোনও রং বাছবেন না, যা চোখে লাগে। যে ঘরের জন্য কুশন কিনবেন, সেই ঘরের দেওয়াল, পর্দা, সোফা ইত্যাদির রং আগে ভাল করে লক্ষ করুন। তার মধ্যে থেকেই দু’-একটি রং বাছুন। এ বার সেই রং অনুযায়ী আপনাকে কুশন কভার বাছতে হবে। পাশাপাশি সব একই রঙের কুশন না রেখে বিভিন্ন রঙের কুশন দিয়ে সাজাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, রংগুলি যেন একে অপরের সঙ্গে মানানসই হয়।
ঘরের শোভা বাড়াতে প্রিন্টের কুশন কভারর ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
কভার নকশা
১) পুজোর আগে ঘরের সাজে একটু সাবেকিয়ানা থাকলে মন্দ হয় না! এ ক্ষেত্রে কাশ্মীরি বা গুজরাতি ফুলেল নকশা করা উপরে কুশন কভার বেশ ভাল লাগে।
২) সিল্কের কুশন কভারও কিনতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের সিল্কের কুশনে কভারের উপর সোনালি বা রুপোলি প্রিন্টেড ছোট নকশা ঘরে রাজকীয় ছোঁয়া আনবে।
৩) পুজোয় যদি বাড়িতে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে চান সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রিন্টের নকশা করা কুশন কভার ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভাল হয় যদি এক রঙা এবং ডি়জিটাল প্রিন্টের কভার মিলিয়ে মিশিয়ে রাখতে পারেন।
৪) কেবল ঘরের ভিতরেই নয়, বারান্দার শোভা বাড়াতেও ব্যবহার করতে পারেন কুশন। বারান্দার এক কোণে একটি এরিকা পাম গাছ, পাশে একটি বেতের চেয়ার আর তার উপর একটি প্রিন্টের কভার-সহ কুশনেই বদলে যাবে বারান্দার ভোল। ঘরের শোভা বাড়াতেও প্রিন্টের কুশন কভারর ব্যবহার করতে পারেন।
৫) ঘরের অন্দরের সাজের উপরেই নির্ভর করবে কুশনের আকার। গোল, ত্রিকোণ, চৌকোর মতো জিয়োমেট্রিক আকার ছাড়াও এক ফালি তরমুজ, স্ট্রবেরি, পেঁচা, মাছ, হাতির মতো নানা ধরনের কুশন এখন খুব ‘ইন’। কিন্তু সেই কুশন আপনার ঘরের সাজের সঙ্গে মানাচ্ছে কি না, সেটা দেখে নিন। শিশুদের ঘরের জন্য এই ধরনের কুশন কিন্তু বেশ ভাল।