পুজোর আগে ঘর সাজাবেন কী ভাবে? প্রতীকী ছবি
পুজো মানেই পরিজনের সঙ্গে দেখা, সবাই মিলে মেতে ওঠা আনন্দে। কিন্তু অতিথিরা যদি এসে দেখেন, বাড়ি অগোছালো, তবে তাঁদের সামনে বাড়তে পারে বিড়ম্বনা। তাই সুখী গৃহকোণকে নিজের মনের মতো করে সাজাতে চান সকলে। সাধারণত অতিথি-অভ্যাগতের অধিকাংশেরই আপ্যায়ন করা হয় বসার ঘরেই। তাই বসার ঘরটি ঠিক মতো সাজিয়ে তোলা চাই-ই চাই। রইল তিন সহজ কৌশল, যাতে বদলে যেতে পারে আপনার বসার ঘরের ভোল।
১। সঠিক রং হোক বা নকশা, বসার ঘরের দেওয়ালের সাজ বিশেষ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা অল্প খরচে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন, তাঁরা নকশাবিহীন একরঙা দেওয়াল রাখতে পারেন। অল্প আসবাবের সঙ্গে এই ধরনের দেওয়াল বেশি মানানসই। ঘর ছোট হলে দেওয়ালে হাল্কা রং করলে বড় দেখাবে ঘর। ঝুলন্ত আসবাব লাগাতে পারেন বাড়িতে। জানালা থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন নানা ধরনের কৃত্রিম আলো।
২। গতানুগতিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। সোফার বদলে বিন ব্যাগ কিংবা বড় বালিশের মতো রঙিন গদি ব্যবহার করতে পারেন। জায়গাও বাড়বে, আসবে নতুনত্বের ছোঁয়াও। ভারী আসবাব একেবারে সরিয়ে মেঝেতেই বাহারি কার্পেট, জাজিম ও হরেক রকমের কুশন দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন বসার জায়গা।
বসার ঘরেও রাখতে পারেন মানানসই গাছ। প্রতীকী ছবি
৩। দুর্গাপুজো বাঙালির আত্মার উৎসব। আর আত্মপরিচয়ের একটি বড় অংশই প্যাশন। নিজের বসার ঘরকে তাই এ বার পুজোয় সাজিয়ে ফেলতে পারেন সেই ভাবনা অনুসারেই। যিনি চিত্রশিল্পী, তিনি বসার ঘর সাজাতে পারেন স্টুডিওর মতো করেই। যিনি বই ভালোবাসেন, তাঁর বসার ঘরে থাকুক বইয়ের বাহারি তাক। কারও যদি বাগানেরও শখ থাকে, তবে বসার ঘরেও রাখতে পারেন মানানসই গাছ। পুরনো দেওয়াল ঘড়ি কিংবা মাঝের টেবিলে রাখা কোনও ভাস্কর্য পুরোপুরি বদলে দিতে পারে ঘরের সামগ্রিক আবেদন।