—প্রতীকী ছবি।
বর্ষাকালে ঘরের মধ্যে খানিকটা স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে। এই সময়ে আলোবাতাস কম থাকে বলে ঘরের মধ্যেও একটা দমবন্ধ করা আবহাওয়া থাকে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ প্রাণ ভরে নিতে ইচ্ছা করলেও, ঘরে এই গন্ধ সারা ক্ষণ ভরে থাকলে মোটেই ভাল লাগে না। বৃষ্টির মরসুমে সারা ক্ষণ ঘরের জানলা খুলে রাখা মুশকিলের। কোন সময় ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে বলা তো যায় না। বৃষ্টির ছাঁট এসে জলে ভরে যাবে ঘরে। তার চেয়ে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে কয়েকটি গাছ রাখতে পারেন। তবে ঘরের ভিতর সব ধরনের গাছ রাখা যায় না। কম আলোয় বাঁচতে পারে যে গাছ, সেগুলিই রাখতে হবে।
—প্রতীকী ছবি।
পিস লিলি
বেনজিন থেকে অ্যামোনিয়া— বাতাস থেকে বেশির ভাগ দূষিত পদার্থ শোষণ করে এই গাছ। পিস লিলি ঘরে রাখলে শুধু যে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ে, তা নয়, মনও শান্ত হয়। ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরলেও বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়।
আইভি লতা
অনেকেরই বাড়ির দেওয়ালে এই গাছ চোখে পড়বে। লতানো এই গাছ বাড়িতে রাখতে পারেন। আলাদা করে দেওয়াল সাজানোর দরকার পড়বে না। আইভি লতা ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করে। ঘরের গুমোট ভাব কাটিয়ে দেয়।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
এই গাছ ঘরের ভিতর বাঁচানো খুব সহজ। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে এই গাছ টেনে নেয়। ফলে ঘরে মুক্ত বাতাস চলাচল করতে পারে। অক্সিজেন উৎপন্ন করে।
পার্লার পাম
পাম গাছ বহু ধরনের হয়। তার মধ্যে পার্লার পাম প্রজাতিটি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে সবচেয়ে কার্যকর। ঘরে রাখলে একটা চনমনে ভাব থাকবে। মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেয় এই গাছ।
ফ্ল্যামিংগো লিলি
রঙিন ফুলে ভরে থাকে এই গাছ। ঘরে রাখলে মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। অন্দরসজ্জায় আলাদা মাত্রা আনা এবং বাতাস পরিশুদ্ধ করা— দুটোই করতে পারে এই গাছ। এই বর্ষায় ঘরের বায়ু শুদ্ধ রাখতে নার্সারি থেকে আনতেই পারেন ফ্ল্যামিংগো লিলি।