রান্না ঘরের জানলা বা ফ্ল্যাটের বারান্দায় হোক ভেষজ গাছের বাগান। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন যাঁরা, তাঁরা প্রায় রোজই কিছু না কিছু ভেজানো জল খান। জিরে, ধনে, জোয়ান— নানা রকম ভেষজ থাকে তালিকায়। তবে ভিজিয়ে রাখার পর ওই মশলাগুলি আর ব্যবহার করা যায় না। তাই ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তবে এই বীজগুলি ফেলে না দিয়ে যদি বারান্দা বা হেঁশেলের জানলায় রাখা টবে ছড়িয়ে দেন, সেখান থেকে গাছ হয়ে উঠবে অনায়াসেই। বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন পড়বে না। এমন কোন কোন গাছ রাখবেন বাড়িতে?
১) পুদিনা
গরমকাল জুড়েই লেবু-নুন-চিনির শরবতে পুদিনা পাতা দিয়ে, মুখে এই পাতা বেটে মেখে এলেন। কিন্তু পাতা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর কাণ্ডটির নীচের দিকটা যদি মাটিতে বসিয়ে দিতেন, তা হলেই পুদিনা গাছ বেড়ে উঠত অনায়াসে। ২) মেথি
মাথায় বেটে মাখবেন বলে যে কয়েকটি মেথি দানা ভিজিয়ে রেখেছিলেন, তার মধ্যে থেকে কয়েকটি তুলে আলাদা করে রাখুন। অন্য একটি পাত্রে জল দিয়ে এই দানাগুলি ভিজিয়ে রাখুন, যত ক্ষণ না কল বেরোয়। কল বেরোনো দানা মাটিতে ছড়িয়ে দিলেই মেথি গাছ হয়ে যাবে।
৩) ধনে
কাজের সুবিধার জন্য বেশির ভাগই গুঁড়ো মশলা ব্যবহার করেন। তবে ধনে ভেজানো জল তো খান মাঝেমধ্যেই। ভিজিয়ে রাখা ধনেই মাটিতে ছড়িয়ে দিলে গাছ হয়ে যাবে। ধনেপাতা আর বাজার থেকে কিনে আনতে হবে না।
৪) জিরে
মাছের ঝোলে ফোড়ন দেওয়া থেকে পেট ফাঁপার সমস্যা— জিরের গুণেই সব নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। আর বাড়িতেই যদি জিরের গাছ থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। ধনের মতোই ভিজিয়ে রাখা জিরে থেকেও সহজে গাছ তৈরি করা সম্ভব।
৫) জোয়ান
ভেষজ বাগানে অন্য সব মশলার পাশাপাশি জোয়ান থাকা আবশ্যিক। হজমের গন্ডগোল থেকে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা— সবেতেই জোয়ান কার্যকর। জলে ভেজানো কয়েকটি দানা ছড়িয়ে দিন। গাছ তৈরি হয়ে যাবে।
৬) হলুদ
আলাদা করে যত্ন করার প্রয়োজন পড়ে না। অল্প মাটি আর জলেই বেড়ে উঠতে পারে এই গাছ। মুখে মাখার জন্য কাঁচা হলুদ কিনে থাকলে সেখান থেকেই ছোট্ট একটি টুকরো মাটিতে পুঁতে দিন। সেই গাছ ডালপালা মেলে ধরবে কয়েক দিনের মধ্যেই।
৭) মৌরি
বারান্দা বা রান্নাঘরের জানলা বাগানে রাখা যেতে পারে মৌরিও। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম সেই একই। জলে ভেজানো মৌরি মাটিতে ছড়িয়ে দিন। কিছু দিনের মধ্যেই চারা গাছ বেরিয়ে যাবে।