ছবি: প্রতীকী
নতুন বাড়ি কেনার পর থেকে বসার ঘর, শোয়ার ঘর, হেঁশেলের অন্দরসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তর চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় যেখানে কাটান, সেই জায়গাটির কথা মাথায় আসে অনেক পরে। তার পিছনে অবশ্য একটি যুক্তি রয়েছে। অতিথি, বন্ধু বা বাড়িতে যে কোনও মানুষ এলে, আগে তাঁদের চোখে পড়ে বসার ঘরটিই। অন্দরসজ্জাশিল্পীরা বলছেন, রুচির পরিচয় দিতে গেলে বাড়ির অন্যান্য অংশের মতোই শৌচাগারের অন্দরসজ্জাও কিন্তু ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে, নিজে হাতে বাড়ির এই অংশটি সাজিয়ে তুলতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) রং পছন্দ করুন
শৌচাগারে কী কী রাখবেন তার সঙ্গে দেওয়াল, মেঝে, কমোড বা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রঙের সমন্বয় থাকছে কি না, তা আগে থেকে দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ, শৌচাগার সাজানোর অন্যান্য ছোটখাটো জিনিস পাল্টানো গেলেও মেঝের টাইল্স বা কমোড কিন্তু পাল্টানো বেশ ঝক্কির।
২) কেমন মেঝে চান
টাইল্স না কি মার্বেল, কেমন মেঝে করাবেন তা আগে থেকে ভেবে রাখা জরুরি। মেঝের রঙের সঙ্গে অন্যান্য জিনিস খাপ খায় কি না, তা মাথায় রেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। এখন অবশ্য টাইল্সেরও রকমারি ধরন বেরিয়েছে। কোনওটি অতিরিক্ত চকচকে, কোনওটি পাথরের মতো খসখসে, কোনওটি দেখলে মার্বেল পাথর বলেও ভুল হয়। তাই নিজের বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী মেঝে কেমন হবে তা ঠিক করে নিন। তবে শৌচাগারে আজকাল অ্যান্টি স্কিড টাইল্স বেশি পছন্দ করেন অনেকে। কারণ জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এবং চট করে পা পিছলে যায় না।
৩) দেওয়ালে রং না ওয়ালপেপার
বেশির ভাগ শৌচাগারের দেওয়ালের অর্ধেকটাই টাইল্সে ঢাকা থাকে। বাকি অংশটুকুতে রং করে নেন অনেকেই। তবে শৌচাগার কিঞ্চিৎ বড় দেখাতে এখন অনেকেই টাইল্সের পরিবর্তে ‘ওয়ালপেপার’ সাঁটিয়ে দিচ্ছেন দেওয়াল জুড়ে। পছন্দ না হলে সহজে ওয়ালপেপার পাল্টে ফেলার সুযোগ রয়েছে।
ছবি: প্রতীকী
৪) বেসিনের আকার এবং রং
শৌচাগারে থাকা বেসিনটির আকার এবং রং কেমন হবে তা-ও আগে থেকে ভেবে নেওয়া জরুরি। সাধারণত কমোড, বাথটব এবং বেসিনের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই অন্দরসজ্জা পরিকল্পনা করেন পেশাদার শিল্পীরা। অন্দরসজ্জা করার সময় এই বিষয়টি কিন্তু মাথায় রাখতেই হবে।
৫) আয়নার ব্যবহার
সারা দিনের ক্লেদ, ক্লান্তি ধুয়ে আবার নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জায়গাটিতে আয়না অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিজের সঙ্গে কথা বলা, নিজেকে চেনার বা জানার এই একান্ত মুহূর্তটিতে আয়না যেন হয়ে ওঠে নিজেরই প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়াও ছোট জায়গা বড় দেখানোর ক্ষেত্রে আয়নার ব্যবহার করতে হবে বুঝেশুনে।