ড্রাই ফ্রুট্স তৈরির উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়তেই বাজারে শুকনো ফলের রমরমা। কাজুবাদাম, কিশমিশ, কালো আঙুর, খোবানি, ডুমুর, কিউই, পিচ থেকে শুরু করে কত কী যে পাওয়া যায়, তার ইয়ত্তা নেই। শীতকালে ড্রাই ফ্রুট্স কেনার চল একটু বেশিই চোখে পড়ে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি জুড়ে চলে কেকের সিজ়ন। ক্রিসমাস কেক, প্লাম কেক, রিচ ফ্রুট কেক— সবেতেই শুকনো ফল দেওয়ার রেওয়াজ। তবে এই সমস্ত ফল খেতে ভাল হলেও এদের দাম বিপুল। তাই ইচ্ছে থাকলেও সকলের পক্ষে সেই সব ফল কেনা সম্ভব হয় না। তাই বলে ড্রাই ফ্রুট্স খাওয়া বন্ধ থাকবে? একদম না। বাজার থেকে টাটকা ফল কিনে সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলা যায় ড্রাই ফ্রুট্স।
১) টাটকা ফল বাছতে হবে
ড্রাই ফ্রুট্স তৈরি করার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল বাজার থেকে বেছে ভাল মানের, পাকা ফল কেনা। ফলের মান যত ভাল হবে, ড্রাই ফ্রুট্স খেতে তত ভাল হবে। বাজার থেকে কেনা ফল ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, বীজ ফেলে দিয়ে, সমান ভাবে কেটে নিতে হবে।
২) যেন খয়েরি দাগ না হয়
বাজার থেকে কেনা ফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকনো করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। কাটা ফল অনেক সময়ে কালচে বা লালচে হয়ে যায়। যাতে তেমনটা না হয়, তার জন্য কাটা ফলে লেবুর রস মাখিয়ে রাখতে পারেন। অনেকে গুঁড়ো চিনিও ছড়িয়ে রাখেন।
৩) শুকিয়ে নিতে হবে
কাটা ফল শুকোনোর জন্য বেশ কিছু দিন কড়া রোদে রেখে দিতে হবে। কিন্তু কাটা ফলে মাছি বসলে, তাতে পচন ধরতে পারে। তাই পরিষ্কার একটি ট্রে-তে কাটা ফল সাজিয়ে, তার উপর পাতলা কোনও কাপড় চাপা দিয়ে রাখতে পারেন।
বাজার থেকে টাটকা ফল কিনে সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলা যায় ড্রাই ফ্রুট্স। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অভেনে শুকোনোর পালা
কাটা ফল বেশ কিছু দিন রোদে রাখলে, প্রাথমিক ভাবে রস শুকিয়ে যায়। তার পর বেকিং ট্রে-তে পার্চমেন্ট কাগজ বা বেকিং শিটের উপর ফলগুলি সাজিয়ে, একেবারে অল্প তাপমাত্রায় অভেনে রোস্ট করে নিন। ফলগুলি যাতে পুড়ে না যায়, তাই মাঝে মধ্যে অভেন খুলে উল্টে পাল্টে দিতে হবে। তবে রোস্ট করার সময়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ফলগুলি থেকে রস টেনে গেলেও তা একেবারে শুকনো খটখটে না হয়ে পড়ে। ফলের গায়ে যাতে রস লেগে না থাকে, সে দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
৫) সংরক্ষণ
শুকনো ফল রাখার জন্য পরিষ্কার বায়ুরোধী শিশি প্রয়োজন। কারণ, হাওয়া-বাতাস লাগলে শুকিয়ে নেওয়া ফলও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার অনেকেই সিল করা প্লাস্টিক প্যাকেটের মধ্যে সেই সব ফল রাখেন, যাতে তা দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ভাল থাকে।