Healthy Drink

লুচি খাওয়ার পর জল খেলেই তো বিপদ, পেটের অস্বস্তি এড়াতে কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জল, অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার সহজে ভাঙতে পারে না। উল্টে পেটের অস্বস্তি বেড়ে যায়। এমন সময়ে কোন ধরনের পানীয় খাওয়া উচিত?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৮
Share:

জল না খেয়ে কী খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

রাতে বিয়েবাড়ি আছে বলে সকাল থেকে বেশি কিছু খাননি। খিদে পেটে বুফের টেবিলে মটন বিরিয়ানি দেখে আর লোভ সামলাতে পারেননি। অনেকটা খেয়ে ফেলেছেন। খাওয়ার পরেই গলা শুকিয়ে কাঠ। অনেকটা পরিমাণে জল খেয়ে তো ফেললেন। এ বার সমস্যা হল, জল খাওয়ার পর থেকেই বমি পাচ্ছে, গা গুলোচ্ছে। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর জল খেলে তো হজম ভাল হয়! তা হলে ফ্রিশ ফ্রাই, মটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাঁপ খাওয়ার পর পুরো বিষয়টা উল্টে গেল কেন? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জল, অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার সহজে ভাঙতে পারে না। উল্টে পেটের অস্বস্তি বেড়ে যায়। এমন সময়ে কোন ধরনের পানীয় খাওয়া উচিত?

Advertisement

১) ঈষদুষ্ণ জল

তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার পর জল তেষ্টা পেলে সাধারণ তাপমাত্রার জল খেতে বারণ করেন অনেকেই। এই সময়ে ঈষদুষ্ণ জল খেলে তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার হজম করার প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। পরিপাকতন্ত্রের পেশিগুলিকে সাবলীল রাখতেও সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল। পাকস্থলীর রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে হালকা গরম জল।

Advertisement

২) স্যুপ

খুব জলতেষ্টা পেলে বিভিন্ন সব্জি দিয়ে তৈরি স্যুপ খাওয়াই যায়। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজে ঠাসা এই স্যুপ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। পরিমাণে একটু বেশি বিরিয়ানি খেয়ে ফেললে, তা হজমে বা পেটফাঁপার সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে স্যুপ।

৩) প্রোবায়োটিক ড্রিঙ্ক

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রোবায়েটিক খাবার বা পানীয় খেতে বলা হয়। ভাজা, অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে এই ধরনের পানীয় খাবার হজম করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

বেগুনি, আলুর চপ বা পেঁয়াজি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে মৌরি ভেজানো জল খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) মৌরি ভেজানো জল

বেগুনি, আলুর চপ বা পেঁয়াজি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে মৌরি ভেজানো জল খেতে পারেন। অনেকে আবার এই পানীয়টি হালকা গরম করে খেতেও পছন্দ করেন।

৫) গ্রিন টি

গ্রিন টি-র মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির উৎপাদন এবং ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। চর্বিজাতীয় খাবার সহজে ফজম করতে গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement