প্রতীকী ছবি।
সারা দিনের কাজের ব্যস্ততায় আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকঠাক করে শরীরচর্চার সময় পাই না। এর কারণে অনেক সময়ে আমাদের শরীর খারাপও হয়। তাই হাজার রকমের ব্যস্ততা থাকলেও, শরীরের দিকে মন দেওয়া জরুরি। সারা দিন কাজ করে আপনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে যেই অবসন্নতার মধ্যে পড়েন, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সব সময়ে যে জিমে দৌড়তে হবে, এমন নয়। রাতে খাওয়ার পরে এক প্রস্থ হেঁটে আসাও ভাল থাকার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নৈশভোজের পরে হাঁটতে বেরোলে কী কী উপকার হয় শরীরের?
হজমের সুবিধা: রাতে খাওয়ার পরে হাঁটতে গেলে শরীরে আরও বেশি গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরি হয়। যা হজমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী।
বিপাক-হার বৃদ্ধি করে: বিপাকের হার বৃদ্ধি করার সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে রাতে খাওয়ার পরে সঙ্গেসঙ্গে না শুয়ে, হাঁটতে যাওয়া। যাঁরা ওজনের দিকে নজর দেন, তাঁদের জন্যেও হাঁটা অত্যন্ত জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রাতে হাটতে যাওয়া আপনার হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বাড়ে।
প্রতীকী ছবি।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সেই সময়ে আপনি যদি বসে না থেকে হাঁটতে যান, তা হলে সেই বাড়তি গ্লুকোজের অনেকাংশ ব্যবহৃত হয়ে যায়। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে না।
অসময়ে খাওয়ার ইচ্ছা কমানো: অনেক সময়েই আমাদের নৈশভোজের পরেও কিছু খেতে ইচ্ছে করে। মাঝরাতে কিছু খাওয়া অনেক সময়েই শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক। রাতে হাঁটতে গেলে আপনার এই অসময়ের খাওয়ার ইচ্ছেগুলি কমে আসে।
ঘুমের সুবিধা: মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। ঘুমের সমস্যা হলে, রোজ রাতে খাওয়ার পরে একপ্রস্থ হেঁটে আসুন। তাতে আপনার ঘুম আসার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
অবসাদ মোকাবিলা: শরীর থেকে ক্লান্তি মেটানো ছাড়াও মানসিক ক্লান্তি দূর করার ক্ষেত্রে হাঁটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি অভ্যাস। শরীরে এন্ডরফিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আপনি মানসিক ভাবে অনেক হাল্কা আর উত্ফুল্ল থাকবেন।