— প্রতীকী চিত্র।
কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিথি। প্রতি দিন কলেজ যাওয়ার আগে শ্যাম্পু করা চাই-ই চাই। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলেও, ক্লাস শুরুর আগে পৌঁছতে না পারলেও এই নিয়মে কোনও বদল নেই। আবার টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত শৌভিক, ছুটির দিনেও হালকা মেকআপ না করে বন্ধুদের ঘরোয়া আড্ডাতেও যোগ দেন না। এ ক্ষেত্রে দু’জনের বক্তব্যের মধ্যে মিল একটি জায়গায়। তিনি মনে করেন তেলতেলে চুল নিয়ে কলেজে যাওয়া যায় না। আবার শৌভিকের বক্তব্য, সপ্তাহে ছ’দিন মেকআপের আড়ালে থেকে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তাই ক্যামেরার সামনে না থাকলেও হালকা মেকআপ না করলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
কোনও ব্যক্তির রুচি, পছন্দ, শিক্ষা, বেড়ে ওঠার পাশাপাশি, বাহ্যিক কিছু বিষয়ও জড়িয়ে থাকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। মনোবিদেরা বলছেন, কোনও ব্যক্তির আচার-আচরণ, কথা বলার ভঙ্গি, যোগ্যতার সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্যও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই বলে মুখে একগাদা মেকআপ করে নিলে বা খরচ করে চুলে নানা রকম কায়দা করিয়ে ফেললেও যে খুব একটা লাভ হবে, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। কোনও ব্যক্তির ত্বক এবং চুল হল তাঁর শরীরের আয়না। এই আয়নাই আসলে অন্যের চোখে ওই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বক এবং চুলকে ভিতর থেকে ভাল করার চেষ্টা করতে হবে। তার জন্য পুষ্টিকর, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখার দিকে নজর দিতে হবে। ঘুম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কম ঘুম হলেও কিন্তু আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।