— প্রতীকী চিত্র।
কিছু দিন ধরেই বুকে ব্যথা, বুক চিনচিন। চিকিৎসকের কাছে যেতেই একগুচ্ছ পরীক্ষা। হৃদ্যন্ত্রে কোনও রোগ বাসা বাঁধল কি না, তা জানতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, এই ধরনের সমস্যা হঠাৎ আসে না। বেশ কিছু দিন আগে থেকে তা জানান দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সুস্থ মানুষের মুখ থেকে সংগ্রহ করা লালারসে বা মাউথওয়াশে শ্বেত রক্তকণিকার অস্তিত্বই জানান দিতে পারে কোনও ব্যক্তি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতে পারেন কি না। তথ্যটি ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন ওরাল হেল্থ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু বয়স্করা নন, ইদানীং কমবয়সিরাও হার্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মাড়িতে হওয়া কোনও রকম প্রদাহ প্রতিরোধ করার অক্ষমতাও কিন্তু হার্টের রোগের লক্ষণ হতে পারে। মাড়ির খুব সাধারণ একটি সংক্রমণ হল ‘পেরিওডনটিটিস’। গবেষকরা বলছেন, সংক্রামিত মাড়ি থেকে ব্যাক্টেরিয়া রক্তবাহিকার মাধ্যমে হার্টে গিয়ে পৌঁছলে কাজকর্ম বিঘ্নিত হতে পারে। পেরিওডনটিটিস রয়েছে, এমন বেশ কিছু মানুষের মুখ থেকে লালারস সংগ্রহ করে গবেষণার কাজ শুরু হয়েছিল। যেখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, মাড়ির স্বাস্থ্যের সঙ্গে হার্টের রোগের যোগ রয়েছে। সংগ্রহ করা ওই লালারসে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। তাই তড়িঘ়ড়ি তাদের মুখের এবং মাড়ির যত্ন নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় পাওয়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চিকিৎসকেরাও প্রথম থেকেই মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।