— প্রতীকী চিত্র।
বিভিন্ন গাছের শিকড়, ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু সুগন্ধি। যা মানবদেহের সার্বিক উন্নতি সাধনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তার পোশাকি নাম অ্যারোমাথেরাপি বা গন্ধ চিকিৎসা। ভারতে প্রাচীন কাল থেকেই এই গন্ধ চিকিৎসার চল ছিল। শুধু তা-ই নয়, মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার সময়কালেও এই গন্ধ চিকিৎসা যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল বলে জানা যায়। অ্যারোমাথেরাপি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করেন যাঁরা, তাঁদের মতে, ওই নির্যাস থেকে তৈরি বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল, গন্ধ এবং ত্বকের শোষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অনিদ্রা, উদ্বেগের মতো মানসিক বহু সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।
আর কোন কোন উপকারে লাগে অ্যারোমাথেরাপি?
১) মানসিক চাপ কমায়
আশপাশ থেকে কোনও ভাল গন্ধ হঠাৎ নাকে গেলেই অনেকের মন ভাল হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল, বার্গামটের মতো এসেনশিয়াল অয়েল মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে। এই সব এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধে স্ট্রেস হরমোন কর্টিজ়লের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২) অনিদ্রা দূর করে
এমন কিছু ভেষজ আছে, যেগুলির ঘ্রাণ স্নায়ু শিথিল করে দেয়। অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকলেও সহজে চোখে ঘুম চলে আসে। ল্যাভেন্ডার, সেডারউডের মতো এসেনশিয়াল অয়েল এ ক্ষেত্রে ঘুমপাড়ানি গানের মতোই কাজ করে।
৩) মন ফুরফুরে রাখে
মনখারাপের কারণ সব সময়ে স্পষ্ট করে বোঝা যায় না। তেমন কোনও ঘটনা ছাড়াও মনখারাপ হতে পারে। ঋতুজনিত অবসাদও দেখা যায় অনেকের মধ্যে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে যে কোনও লেবুর গন্ধ।
— প্রতীকী চিত্র।
৪) ব্যথা কমায়
শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে অনেকেই ভরসা করেন এসেনশিয়াল অয়েলের উপর। ইউক্যালিপটাস, পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলে রয়েছে অ্যানালজেসিক নামক একটি যৌগ, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫) শ্বাসকষ্ট দূর করে
ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা থেকে আরাম মিলতে পারে ইউক্যালিপটাস এবং টি ট্রি অয়েলের গুণে।