নিয়ম করে ব্যায়াম।
রোজের কিছু নিয়ম থাকে। সকলেরই। তবু নিয়ম ভাঙা হয়। আবার নতুন নিয়ম তৈরি হয় শরীর-মন ঠিক রেখে চলার জন্য। কিন্তু কিছু জিনিস না মেনে চললে বিপদ ঘটতে পারে। তাই বলে সকলের জন্য নিয়ম কখনওই এক হয় না। শারীরিক এবং মানসিক গঠনের উপরে নির্ভর করে সেই সব নিয়ম। আবার নারী এবং পুরুষদের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় একেবারেই আলাদা ভাবে খেয়াল রাখতে হয়। কারণ, প্রয়োজনগুলো বহু ক্ষেত্রে এক-এক রকম। নারীদের নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। কিন্তু পুরুষদেরও কিছু বিষয়ে আলাদা ভাবে খায়াল রাখা প্রয়োজন। রোজের জীবন সুস্থ রাখতে কী কী করতে হবে পুরুষদের? শরীরচর্চায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে যুক্ত বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে উঠে এল ৪টি বিষয়। সে দিকেই ছেলেদের বেশি খেয়াল রাখা দরকার বলে বক্তব্য তাঁদের।
১) নিয়মিত শরীরচর্চা
মেদ কমানো বা মন ভাল রাখা শুধু নয়। কর্মক্ষমতা ধরে রাখতেই যে কোনও পুরুষের হাল্কা ব্যায়াম দরকার। কারণ, মহিলাদের থেকে পুরুষদের শারীরিক গঠন তুলনায় কম নমনীয়। ফলে নিজেদের সচল রাখতে আরও বেশি ব্যায়াম অভ্যাস দরকার। কাজের ফাঁকে যোগব্যায়াম কিংবা হাল্কা দৌড়োদৌড়ি করলে সুবিধে হতে পারে।
২) ধীরে চলুন
অতি প্রচলিত কথাই আবার বলা আর কী! কোনও কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো করার প্রবণতা ছেলের মধ্যে মেয়েদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। ওজন কমাতে হলে তাড়াতাড়ি করতে হবে, কিংবা কোথাও পৌঁছতে হলেও যেতে হবে তাড়াতাড়ি। ঝটপট কাজ করা যেমন মাঝেমধ্যে ভাল, তেমন শরীরচর্চার ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকরও। নিজের মধ্যে সে প্রবণতা থাকলে, তা নিয়ন্ত্রণের কথা খেয়াল রাখতে হবে।
৩) নতুন কিছু করুন
পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগও শোনা যায়, একই ব্যায়াম বারবার করতে ভালবাসে তারা। ব্যায়ামের নিয়মে কোনও পরিবর্তন আনে না সাধারণত। কিন্তু সে অভ্যাসও ভাল নয়। সবেতেই স্বাদ বদলের প্রয়োজন আছে। শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও সেই বদল জরুরি। মাঝেমাঝে নতুন কোনও ব্যায়াম করা ভাল। তার জায়গায় পুরনো কোনও ব্যায়াম বন্ধও রাখা যায়।
৪) মাঝেমধ্যে বিরতি
বিশ্রামের গুরুত্বও বোঝা জরুরি। সেটাও বহু ক্ষেত্রেই ভুলে যান ছেলেরা। শরীরচর্চা যতটাই করার অভ্যাস থাকুক না কেন, কখনও কখনও সব থেকেই বিরতি নিতে হবে। তাতে পরে আবার ব্যায়াম করতেও সুবিধে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এই ক’টা কথা মাথায় রাখতে পারলে আগামীতে অনেক সমস্যাই আরও সহজ হবে। নিয়মটা শুধু নিজের মতো করে পালন করাই জরুরি।