ঘুম ভাঙা দেখেই বোঝা যায় স্বাস্থ্যের হাল?
কোনও অ্যালার্ম ঘড়ি লাগে না। কেউ এসে ডেকেও দেন না। সকালে কারও কারও ঘুম এমনিই ভেঙে যায়। যাঁদের এমন হয়, তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা এমনই বলছে।
‘ইচ নাইট’ নামে ঘুম নিয়ে কাজ করা আমেরিকার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হালে এক সমীক্ষা চালিয়ে এমন কিছু মানুষকে নিয়ে, সকালে যাঁদের এমনিই ঘুম ভেঙে যায়। কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নয়, সংস্থাটি তাদের হাতে আসা তথ্যই তুলে ধরেছে। কী কী সুবিধা হয় এই সব মানুষের? কেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তাঁরা?
ক্লান্তি কম: দেখা গিয়েছে, এই ধরনের মানুষের ক্লান্তি অন্যদের থেকে তুলনায় অনেক কম হয়। সারা দিন তাঁরা অনেক চনমনে থাকেন। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আবার সকালবেলা নির্দিষ্ট সময়ে উঠেও পড়তে পারেন।
মন ভাল থাকে: সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের মানুষের মন ভাল থাকে। ‘ইচ নাইট’-এর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, সকালে যাঁদের ঘুম আপনাআপনি ভাঙে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মন ভাল থাকে সারা দিন জুড়ে।
খিদে ভাল: দেখা গিয়েছে, এই ধরনের মানুষের খিদে ভাল পায়। কিন্তু সেটার চেয়েও বড় কথা, খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরা পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি মাত্রায় বেছে নেন। এ জন্য কোনও প্রশিক্ষণ বা জ্ঞানের দরকার হয় না। এই ধরনের মানুষের পছন্দই হল স্বাস্থ্যকর খাবার।
বেশি কর্মক্ষম: ‘ইচ নাইট’-এর তরফে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়েও সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে, যে সব কর্মীরা সকালে কোনও অ্যালার্ম ঘড়ি বা মোবাইল ফোনের সাহায্য ছাড়াই ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারেন, তাঁরা কাজ করতে পারেন বেশি পরিমাণে।