পোষ্যের সঙ্গে বেড়ে উঠছে মোগলি-কন্যা। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির পোষ্যের সঙ্গে খুদেদের সম্পর্ক অকৃত্রিম। নিঃস্বার্থ, চাওয়া-পাওয়াহীন এই সাহচর্য যাঁরা ছোট থেকে পেয়ে এসেছেন, তাঁরা জানেন এই সম্পর্কের গভীরতা। তেমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। ভন জাকোবা নামের এক তরুণীর কন্যা রিভার এবং তাঁর পাঁচ পোষ্য জার্মান শেফার্ডের নানা মুহূর্ত লেন্সবন্দি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই পাঁচ সারমের সঙ্গে রিভারের বেড়ে ওঠার নানা দৃশ্য।
কখনও সে রাস্তায় পাঁচ পোষ্যের সঙ্গে তাদের মতো করেই চার পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তাদের বিছানায় গিয়ে তাদের গায়ে গা ঘেঁষে ঘুমোচ্ছে। আবার কখনও তাদের জল খাওয়ার পাত্র থেকে জল ছিটিয়ে তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেছে। সবচেয়ে অবাক করা কাণ্ড হল, রিভার মুখ থেকে সারমেয়দের মতোই শব্দ করতে শিখছে। যা দেখে ভন মজা করে লিখেছেন, “রিভার নয়, মেয়ের নাম মোগলি রাখলেই ভাল হত।” এক সাক্ষাৎকারে ভন জানিয়েছেন, বাড়ির পাঁচ পোষ্যের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রথম পরিচয়ের দিনটি নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলেন তিনি। পরিবারে কোনও নতুন মানুষের আগমনে তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেই বিষয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন। তবে পাঁচ পোষ্যের স্নেহ বৎসল আচরণ দেখে তাঁর সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিমেষে দূর হয়ে যায়। ভনের দাবি, মেয়ে রিভারকে সব সময়ে আগলে রাখে তাঁর পাঁচ পোষ্য।
পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক জন মজা করে লিখেছেন, “এখন আমার বয়স ২৬। তবে ছোটবেলায় আমি এক বার আমাদের পোষ্য বিড়ালের খাবার খেয়ে ফেলেছিলাম। তাদের খাবার খেয়েও কিন্তু দিব্যি বেঁচে আছি।” দ্বিতীয় জনের মন্তব্য, “এমন শৈশব নিখাদ আনন্দ ছাড়া আর কিই বা দিতে পারে? এই শিশুটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হবে। আমিও ছোটবেলায় পোষ্যদের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছি। আমি বুঝি বাড়িতে পোষ্য থাকার গুরুত্ব।”