পুজোর আগে নতুন করে সেজে উঠছে বাড়িও। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে নতুন করে সেজে উঠছে বাড়িও। পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে ঘর সাজানোর জিনিসও কিনে আনছেন অনেকে। তবে শান্তির নীড় যখন পুজোর আগে যত্ন নিয়ে সাজাচ্ছেন, বাড়ির বারান্দাটি যেন বাদ না যায়। এক চিলতে বারান্দার পুজোর সাজে যেন কোনও ত্রুটি না থেকে যায়। বারান্দার আয়তন ছোট বলে অনেকেই কী ভাবে সাজাবেন, বুঝতে পারেন না। তবে কয়েকটি কৌশল যদি জেনে রাখেন, তা হলে বারান্দা সেজে উঠবে পুজোর সাজে।
বারান্দার সাজে থাকুক উৎসবের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
১) বারান্দা বেশি জায়গা থাকতে না-ই পারে। কিন্তু দেওয়াল তো আছে। সাজানোর জন্য সেগুলি কাজে লাগাতে পারেন। বারান্দার দেওয়াল সাজাতে পারেন আয়না, ছবি কিংবা ঘর সাজানোরো জিনিস দিয়ে। লতানো গাছ রাখার কথাও ভাবতে পারেন। দেওয়াল জুড়ে ঝোপের মতো বড় হবে— এই ধরনের গাছ রাখতে পারেন। তা হলে বেশ বাগান বাগান আমেজ পাওয়া যাবে।
২) পুজোর সময়ে বারান্দায় বসে লোকজন দেখতে বেশ লাগে। তাই পুজো আসার আগেই বারান্দায় একটা বসার ব্যবস্থা করুন। ছোট্ট টেবিল আর দু’টো চেয়ার পাততে পারেন। খুব ছোট জায়গা হলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল কিনুন। যদি মনে হয় তাতেও অসুবিধা হচ্ছে, তা হলে আরও একটি উপায় আছে। মাটিতে পাতার বড়সড় কুশন পাততে পারেন। সেগুলির ঢাকা মাঝেমাঝে বদলালে বারান্দার সাজও বদলে যাবে।
৩) বারান্দায় টুনির মালা লাগাতে পারেন। কিংবা কৃত্রিম মোমবাতি দিয়েও সাজাতে পারেন। উৎসবের দিনে বন্ধুদের আড্ডা জমবে এখানেই। কিংবা পছন্দের মানুষের সঙ্গে রোম্যান্টিক নৈশভোজের আয়োজনও হয়ে যাবে আপনার প্রিয় বারান্দাতেই।
৪) কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো সাজান। পুরোটা না করলেও এক দিকটা এ ভাবে সাজাতে পারেন। পাশে নুড়ি পাথর ছড়িয়ে দিন। বসার জায়গায় কার্পেট বা ডোরি পেতে দিন। একঘেয়েমি কাটবে। উৎসবের দিনে বেশ রংচঙে হবে বারান্দার সাজ।