মাতৃত্বের আগে এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে চাই কিছু নিয়ন্ত্রণ। মা
মা হওয়া মুখের কথা নয়— ছোট থেকে নিশ্চয়ই মায়ের মুখে এ কথা সকলে কখনও না কখনও শুনেছেন। মাতৃত্বের অনেক ধাপ থাকে। ন’ মাস শিশুকে নিজের শরীরে লালন পালন করার আগের পথটাও নেহাতকম দীর্ঘ নয়, আসন্ন মাতৃত্বের নানা প্রস্তুতি। পরিবার পরিকল্পনা থেকে চিকিৎসা, অনেক কিছুই পড়ে এই প্রস্তুতির মধ্যে। তবে অনেকেই যে়টি এড়িয়ে যান তা হল খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা। কিন্তু মাতৃত্বের আগে এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে চাই কিছু নিয়ন্ত্রণ। মা হওয়া কিন্তু সত্যিই মুখের কথা নয়!
কী কী খাবার এই সময়ে খাবেন?
১) বিভিন্ন রঙের শাক-সব্জি খান প্রচুর পরিমাণে। তবে ফ্রিজে রাখা সব্জি এড়ানোই ভাল। বাজার থেকে এনে টাটকা টাটকা খান।
২) সব্জির সঙ্গে খান ফল। যদি ফল কেটে খেতে ইচ্ছে না করে তবে রস করে খেতে পারেন।
৩) বিনস, বাদাম বা ডালের মতো উদ্ভিদজাত প্রোটিন খান বেশি পরিমাণে। পাঁঠার মাংস এই সময়ে না খাওয়াই ভাল।
৪) চিজ বা ফ্রোজেন দইয়ের মতো লো ফ্যাটের দুগ্ধজাত পদার্থের বদলে খান হাই ফ্যাটের পদার্থ। যেমন দই বা বাড়িতে তৈরি আইসক্রিম।
৫) ফলিক অ্যাসিডের ওষুধ খান। এতে থাকে ভিটামিন বি, যা নতুন দেহ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন রঙের শাক-সব্জি খান প্রচুর পরিমাণে।
কী কী খাবেন না?
১) পিৎজা, চিপস, কেকের মতো ট্রানস ফ্যাট-যুক্ত খাবারগুলি খাবেন না এই সময়ে। এই ট্রানস ফ্যাট মহিলা ও পুরুষ উভয়ের জন্যই খারাপ। বিশেষ করে মাতৃত্বের সময়ে এটি একেবারেই খাওয়া উচিত না। কারণ তা মহিলাদের গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
২) চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এই সময়ে কম খেলেই ভাল। কারণ তা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৩) চা, কফি বা মদের মতো নেশার পানীয়ও এই সময়ে ত্যাগ করা উচিত। কারণ এগুলি দেহে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে।