ঘরোয়া যত্নেই দূরে রাখুন পা ফাটা। ছবি: শাটারস্টক।
শীতকালের উত্তুরে হাওয়া আর শুষ্ক আবহাওয়ার হাত ধরে আসা যে সব সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হতে হয়, পা পাটা তার অন্যতম। অনেকেরই সারা বছর কম-বেশি পা ফাটে। তবে শীতে যেন এই কষ্ট লাগামছাড়া। পায়ের পাতার তলদেশে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পা ফেটে চামড়া উঠে যাওয়ার সমস্যা যেমন থাকে, তেমন অনেকের আবার রক্তও বেরয়।
এমনিতেই দুই পায়ের পাতাকেই গোটা শরীরের ভর বহন করে, তার উপর পথঘাটে সবচেয়ে বেশি ধুলোর সংস্পর্শে থাকে পায়ের পাতা। তবু রূপচর্চায় পায়ের পাতাকেই সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি আমরা। অথচ সারা বছর সামান্য যত্নেই পায়ের তলা আরামে থাকে। শীতেও এই যত্নের বিনিময়েই পা থাকতে পারে নরম ও মসৃণ।
বহু খরচ করে পার্লারের সমাধান নয়। রাসায়নিক দেওয়া ফুট ক্রিমের সুরাহাও নয়। নামমাত্র খরচে সহজলভ্য কয়েকটি উপাদান দিয়েই সুন্দর রাখতে পারেন পায়ের পাতা। শুধু পা ফাটা আটকাবে এমনই নয়, ইতিমধ্যে পা ফাটলেও এই নিয়মে ফেটে যাওয়া রুক্ষ অংশের যত্ন নিতে পারবেন অবলীলায়। ঘরোয়া এই উপায়ের খোঁজ দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা।
আরও পড়ুন: শুধু যৌন সংসর্গই নয়, এডস ছড়াতে পারে এ সব কারণেও!
শারীরিক সমস্যা ডেকে আনছে মোবাইল, সমাধানের এই সব উপায় রয়েছে আপনার হাতেই
তেল-মোমের কারসাজিতেই গায়েব হবে ফাটা পা।
উপাদান বলতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ও মোম। পাত্রে এক চামচ নারকেল তেল নিন। যাঁরা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে চান, তাঁরা নারকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েল নিন পাত্রে। এ বার এত যোগ করুন গলানো মোম। অনেকটা পা ফাটা থাকলে এই মিশ্রণে দু’ ফোঁটা মধুও মেশাতে পারেন। এই গলা মোম জমে যাওয়ার আগেই য়ের তলায় ভাল করে মাখিয়ে নিন। এর পর আর বিছানা থেকে নামবেন না। সকালে উঠে দেখবেন পায়ের নীচে শক্ত হয়ে বসে রয়েছে এই আস্তরণ। সহজেই তাকে পায়ের তলা থেকে আলগা করে খুলে ফেলা যায়। মোম-তেলের এই মিশ্রণ ফেলে দিয়ে বাল করে গরম জলে ধুয়ে নিন পা।
প্রতি দিন এই উপায়ে পায়ের তলার যত্ন নিতে শুরু করলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ফল পাবেন হাতে নাতে। এতে পা ফাটা দূর হওয়ার সঙ্গে পায়ের তলা পরিষ্কার ও নরম থাকবে। এমনিতেই পায়ের চলায় যেহেতু স্নায়ুর সংখ্যা বেশি, তাই শীতে এই উষ্ণ মিশ্রণ ঘুম গাঢ় হতেও সাহায্য করে। সুতরাং একেবারেই নামমাত্র খরচ ও মাত্র মিনিট পাঁচেক সময় ব্যয় করলেইই পা ফাটাকে বিদায় দিয়ে গোটা শীত জুড়েই আরামে থাকবেন।