ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি বিএসএফ চৌকিতে নাম লিখিয়ে গ্রাম থেকে শহরে আসছেন ভারতীয় বাসিন্দারা। ছবি - সন্দীপ পাল।
এক লপ্তে জলপাইগুড়ির সীমান্তে দুই সমস্যা মেটাতে চাইছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী তথা বিএসএফ। স্বাধীনতা তথা দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল ‘সমস্যার’ জন্য কিছু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে ছিল বির্তকিত এলাকার সমস্যাও। অর্থাৎ ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে, কিন্তু মানচিত্রে তা নেই। এমন কিছু এলাকাতেও কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল ছয়টি গ্রাম নিয়ে। যেগুলি সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে চলে যায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশে অশান্তির আবহে বিএসএফের সিদ্ধান্ত, উন্মুক্ত সীমান্তে বেড়া দেওয়া হবে এবং বাংলাদেশের দিতে থাকা ছয়টি গ্রামকে কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরে আনা হবে। এই দুইয়ের জন্য নতুন করে বেড়া দিতে হবে।সীমান্তে বেড়া দিয়ে নতুন একটি চৌকিও বসানোর পরিকল্পনা করেছে বিএসএফ। বেরুবাড়ি এবং মহাদেব সীমান্ত চৌকির মাঝে বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলেও বিএসএফের দাবি। সীমান্তের পাশে সড়ক দিয়ে সাইকেল নিয়ে টহলদারি চালান বিএসএফ জওয়ানেরা। সূত্রের দাবি, বিএসএফ মনে করছে, এ ভাবে টহলদারি যথেষ্ট নয়। হঠাৎ জরুরি কিছু হলে জওয়ানদের পৌঁছতে সময় লাগবে। সে কথা ভেবেই একটি সীমান্ত চৌকি তৈরির পরিকল্পনা।
জেলায় ওই সীমান্ত সমস্যার জন্য দুর্ভোগে পড়তে হত বাসিন্দাদেরই। দক্ষিণ বেরুবাড়ির মানিকগঞ্জের দিকে উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য লেগেই থাকে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা ভারতীয় গ্রামের বাসিন্দাদের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে গেলে বিএসএফের তল্লাশি পেরোতে হয়। এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েতে তরফে সামুয়েল হক বলেন, “গ্রাম ঘিরে বেড়া বসলে বাসিন্দাদের সমস্যা মিটবে।”