খেজুরে আয়রনের পরিমাণ বেশি বলে শিশু, অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়মিত খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ছবি: সংগৃহীত।
শেষপাতে টোম্যাটোর চাটনি হোক কিংবা পুজোর প্রসাদ, খেজুর সর্বত্রই থাকে। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শরীরের জন্য সমান উপকারী। খেজুরে আয়রনের পরিমাণ বেশি বলে শিশু, অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়মিত খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট মেনে খাবার খান যাঁরা, তাঁদের ডায়েটেও খেজুর রাখা জরুরি। ভিটামিন বি৬, কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবারের গুণে ভরপুর খেজুর শরীরের আরও অনেক প্রয়োজনে লাগে।
১) হজমে সহায়ক
শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে খেতে পারেন খেজুর। পেট ফাঁপা, গ্যাস, হজমের গোলমাল হলেও খেজুর খাওয়া যায়। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহারও ভাল হয়।
২) প্রাকৃতিক শর্করা
কৃত্রিম চিনি দেওয়া খাবার খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবেই। তবে ঘরোয়া মিষ্টি পদে যদি চিনি বা গুড়ের বদলে খেজুর যোগ করা যায়, সে ক্ষেত্রে রক্তে বাড়তি শর্করা থাকার ভয় নেই।
৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
ফ্ল্যাভোনয়েড্স, ক্যারোটিনয়েড্স এবং ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে খেজুরে। এই উপাদানগুলি শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) হাড় ভাল রাখে
ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে খেজুরে। মধ্যবয়স থেকে নিয়মিত খেজুর খেলে বয়সকালে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যায় ভুগতে হবে না।
৫) হার্টের জন্য ভাল
খেজুরে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হার্ট ভাল রাখতে খেজুর খাওয়া যেতেই পারে। তবে যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।