‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবির একটি দৃশ্যে অভিনেতা রণবীর কপূর এবং দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডায় কম্বলের তলা থেকে এক পা বাইরে ফেলতে পারেন না, অথচ বরফ দেখার শখ। দার্জিলিং কিংবা সিমলাতে বরফ পড়তে পারে শুনেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শৈলশহরে। তবে শীতকালে ঘুরতে যাওয়া যেমন আরামের, কারও কারও ক্ষেত্রে তা কষ্টেরও। কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে চট করে সেই পরিবর্তনের সঙ্গে সকলের শরীর খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। অথচ বরফ পড়া দেখার শখ। সুস্থ থেকে যদি বরফের আমেজ নিতেই হয়, তা হলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১) আবহাওয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা
কোথায় যাবেন, কত দিন থাকবেন, সে সব পরিকল্পনা করুন সময় নিয়ে। আবহাওয়ার কথা ভাল করে জেনে তবেই বাছুন গন্তব্য। অনেকেই ভাবেন, শীতে সহজে বরফ পাওয়া যাবে পাহাড়ে। কিন্তু ঠান্ডা বা হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে প্রবল ঠান্ডায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়ার আশঙ্কাও থাকে।
২) যথেষ্ট শীতপোশাক সঙ্গে রাখা
শীতের ভ্রমণে ব্যাগের ওজন বাড়বেই। তবু প্রয়োজনীয় পোশাক না নিয়ে বেরোবেন না। আগে থেকে কিনে নিন শীতের পোশাক। সঙ্গে নিন অতিরিক্ত মোজা। সব জায়গায় গরম জল না-ও পেতে পারেন। তাই সুগন্ধি রাখুন সঙ্গে।
৩) অযথা ব্যাগ ভারী না করা
ঘুরতে গিয়ে কী পাবেন, না পাবেন সেই সব ভেবে অযথা ব্যাগ ভারী করার কোনও মানে নেই। প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া খুব বেশি লটবহর নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, সবর্ত্র মালপত্র বহন করার জন্য লোকজন পাওয়া যায় না। শেষমেশ নিজেকেই তা বইতে হতে পারে।
৪) পায়ের পাতা গরম রাখা
থার্মাল, সোয়েটার, জ্যাকেট কিংবা শাল জড়িয়েও ঠান্ডার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেন না অনেকেই। তবে অভিজ্ঞেরা বলছেন, পায়ের পাতা গরম রাখতে পারলে দেহের উষ্ণতা অনেকটাই স্বাভাবিক থাকে। প্রয়োজনে উলের মোজাও পরতে পারেন।
৫) পর্যাপ্ত জল খাওয়া
ঘুরতে গেলে এমনিতেই জল খাওয়ার কথা মাথায় থাকে না। ঠান্ডার জায়গায় গেলে সেই প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে বারে বারে অল্প অল্প করে জল খেতে হবে।