শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন গোয়া থেকে। ছবি: সংগৃহীত।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিং হোক কিংবা সোলো ট্রিপ— পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকে রয়েছে গোয়ার নাম। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত, ছোট্ট কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গোয়া। জিভে জল আনা সামুদ্রিক খাবার, আধুনিক সমস্ত ওয়াটার স্পোর্ট্স, ক্রুজ় পার্টি থেকে পাব, নাইটক্লাব, ক্যাসিনো— কী নেই গোয়ায়? তবে শুধুই বিনোদন নয়, গোয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। পর্তুগিজদের পুরনো গির্জা, আর্ট গ্যালারি, জাদুঘর, আগুয়াদা দুর্গ, লাইটহাউস, সেন্ট জেভিয়ার্স চার্চ, পুরনো গোয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর— দেখতে গেলে হাতে বেশ অনেকটা সময় রাখতেই হবে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা, বিদেশি উপনিবেশের কারণেই এখানে বিভিন্ন দেশের, সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে ডিসেম্বর মাস জুড়ে গোয়ায় নানা ধরনের উৎসব-অনুষ্ঠান চলে। তাই এই শীতে যদি গোয়া ঘুরতে আসার পরিকল্পনা থাকে, তবে পাঁচটি জিনিস অবশ্যই করবেন।
১) চোরায়ো দ্বীপে হেরিটেজ ওয়াক
হাতে কম-বেশি ঘণ্টা তিনেক সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন চোরায়ো দ্বীপ থেকে। এই দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন চার্চ এবং চ্যাপেল। সেই সব স্থাপত্যের গায়ে খোদাই করা নিখুঁত শিল্পকলা দেখতে পায়ে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন দ্বীপ থেকে।
২) ভেল্হাতে বড়দিন উদ্যাপন
গোয়ার সংস্কৃতি, রীতি রেওয়াজ যদি নিজে চোখে দেখতে চান, তা হলে এক বার যেতেই হবে ভেল্হাতে। হোলি পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনে রাখার মতো। এ ছাড়া, বড়দিনের সময়ে স্থানীয় মার্কেট, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে গোয়ার গানবাজানার আসর জমে যেতে পারে।
৩) সেরেনডিপিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল
নাচ, গান, ভিজ়ুয়াল আর্ট, থিয়েটার, যন্ত্রসঙ্গীত, রান্নাবান্না— এই সব বিষয় নিয়ে প্রতি বছর বিশেষ একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়। ডিসেম্বরের ১৫ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে যদি গোয়ায় ঘুরতে যান, তা হলে অবশ্যই পানাজির এই উৎসবে ঘুরে দেখবেন।
রাতের গোয়া এমনই রঙিন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বাগা বিচ
অঞ্জুনা এবং কালাঙ্গুটে বিচের মাঝখানে উত্তর গোয়াতে অবস্থিত এই বাগা বিচ। ওয়াটার স্পোর্টসের হাব বলা হয় এই বাগা বিচকে। ওয়াকবর্ডিং, জেট স্কিইং, উইন্ড সার্ফিং, কাইট সার্ফিং, প্যারাসেলিং এই সব কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে বাগা বিচে। এ ছাড়াও গোয়ার ‘নাইট লাইফ’ দেখতে এই বিচে পর্যটকদের ভিড় সারা ক্ষণই উপচে পড়ে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ইনডোর স্নো পার্ক, আইস বার, স্লেজ়িং এরিয়া এবং প্লে জোন। হাতে সময় থাকলে বাগা রোডের তিব্বতি মার্কেট ঘুরে দেখতে ভুলবেন না কিন্তু।
৫) চাপড়া ফোর্ট
অঞ্জুনা বিচ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত চাপড়া ফোর্ট। সমুদ্র সৈকত থেকে গাড়িতে এই কেল্লায় যেতে সময় লাগবে মিনিট দশেকের মতো। ‘দিল চাহতা হে’ ছবির সেই অতি জনপ্রিয় দৃশ্যটি মনে আছে তো! হ্যাঁ, এই কেল্লাতেই সেই ছবির শুটিং হয়েছিল। মনোরম সূর্যাস্ত দেখার জন্য অনেক পর্যটকই ভীড় জমান এখানে।