ব্লিচ করার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই ত্বকের ক্ষতি এড়িয়ে চলা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের কালচে ছোপ দূর করতে ঘরোয়া সব রকম টোটকা প্রয়োগ করে দেখেছেন। কিন্তু সালোঁয় যে ধরনের ব্লিচ করানো হয়, তার জেল্লা যেন সব কিছুর ঊর্ধ্বে। ফেশিয়াল করানোর আগে ত্বকের ধরন বুঝে ব্লিচ করিয়ে নিলে ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ-ছোপ যেমন হালকা হয়, তেমন ঠোঁটের উপর, কানের পাশে মুখের অবাঞ্ছিত রোমের রং ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে যায়। ব্লিচিং করানো যে ত্বকের জন্য খারাপ, তা জানেন। কিন্তু, দাগ-ছোপহীন ত্বক পাওয়ার লোভ তো ছাড়া যায় না! তবে, ব্লিচ করার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই ত্বকের ক্ষতি এড়িয়ে চলা যায়।
ব্লিচ করার সময়ে কী কী করবেন?
১) প্রথমেই মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যাতে কোনও ভাবেই মুখে তেল, ধুলো-ময়লা না থাকে।
২) কপালের সামনের দিকে ছোট চুল কিংবা লক্স ভাল করে ক্লিপ দিয়ে বেঁধে রাখুন। ব্লিচ লাগলে চুলের রং সাদা হয়ে যেতে পারে।
৩) যত ভাল, নামী সংস্থার ব্লিচ হোক না কেন, সারা মুখে ব্যবহার করার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের প্রসাধনী থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
৪) অনেকেই আঙুলের সাহায্যে মুখে ব্লিচ মাখেন। মুখের তো বটেই, আঙুলের চামড়াও নষ্ট হতে পারে এই অভ্যাসে। হাতে লাগা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ব্লিচিং-এর সঙ্গে বিক্রিয়াও করতে পারে।
৫) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যেমন মুখে ব্লিচ করা যায় না, তেমনই ব্লিচ করেই কিন্তু রোদে বেরোনো উচিত নয়।
ব্লিচ করার সময়ে কী কী করবেন না?
১) ব্লিচিং পাউডার এবং ক্রিম— এই দু'টি মিশিয়ে মূল উপাদানটি তৈরি করতে হয়। ভুলেও ধাতব কোনও পাত্রে মিশ্রণ তৈরি করবেন না।
২) চোখ, ঠোঁট কিংবা নাকের মতো স্পর্শকাতর অংশে ব্লিচ করার প্রয়োজন নেই। অসাবধানে ব্লিচ লাগলেও শুকনো কাপড় দিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলুন।
৩) সকালে ব্লিচ করেছেন। ভাবছেন, ঘণ্টা দুয়েক পর সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বেরোতে পারবেন? সানস্ক্রিন মাখার পরে রোদে বেরোলেও কিন্তু ত্বকের হাল খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৪) মুখের মধ্যে ব্রণ বা কোনও ক্ষত থাকলেও কিন্তু তার উপর ব্লিচ করা যায় না।