ফল খেতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
ফল নিঃসন্দেহে শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ সকলেই দিয়ে থাকেন। কিন্তু খাওয়ার আগে না পরে— কখন ফল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়েও রয়েছে চর্চা। আবার কারও মতে সকালের খাবারে যদি ফল রাখা যায়, তার চেয়ে ভাল নাকি আর কিছুই হয় না। ফল খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন রকম মত রয়েছে বিভিন্ন মহলে। পুষ্টিবিদের মতে, নিয়ম মেনে ফল খেলে তবেই শরীর চাঙ্গা হবে, বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। জেনে নিন, ফল খাওয়ার সময় কোন ৫ নিয়ম না মানলেই হতে পারে পেটের সমস্যা।
১) দুধ, দইয়ের সঙ্গে ফল নয়: অনেকেই জলখাবারে দুধ মুসলির সঙ্গে ফল খান, কেউ আবার দুপুরবেলায় দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে খান। তবে এই অভ্যাস পেটের জন্য মোটেও ভল নয়। এর কারণে বদহজমের সমস্যা হয় অনেকের। তাই দুগ্ধজাত খাবার আর ফল আলাদা করে খাওয়াই ভাল।
২) খাবারের ঠিক পরেই ফল নয়: খাওয়াদাওয়ার পর অনেকেরই ফল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে দুপুর কিংবা রাতের খাবার সেরেই সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। এতেও পেটের সমস্যা, গ্যাস, অম্বল হতে পারে। জলখাবার এবং দুপুরের খাবারের মাঝের সময়টা ফল খাওয়ার জন্য আদর্শ।
৩) রাতে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন: দিনের শুরুতে বিপাক হার অনেক বেশি থাকে, দিনের শেষে শরীরের বিপাক হার কমে যায়। রাতেরবেলা তাই ফল খেলে হজম হতে চায় না। তাই সকালে কিংবা দুপুরের দিকে ফল খাওয়াই ভাল।
দুপুর কিংবা রাতের খাবার সেরেই সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) খোসা সমেত গোটা ফল খান: আপেল, শসা, নাসপাতির মতো ফলের খোসা অনেকেই ছাড়িয়ে খান। তবে খোসাসমেত ফল খাওয়া কিন্তু বেশি স্বাস্থ্যকর। ফলের খোসায় অনেক পুষ্টিগুণ থাকে। তাই খোসা ছাড়িয়ে নয়, খোসাসমেত ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফলের রস নয়, গোটা ফল খেতে হবে। তা হলেই পর্যাপ্ত ফাইবার যাবে শরীরে।
৫) মিষ্টি ফল ও টক ফল একসঙ্গে নয়: কলার মতো মিষ্টি ফলের সঙ্গে লেবু, আঙুর, স্ট্রবেরির মতো টকফল ভুলেও খাবেন না। এই ধরনের ফল মিশিয়ে খেলে হজম হয় না, পেটের গোলমাল হতে পারে।