পুরনো দুধ দিয়ে কী কী বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে গেলে একসঙ্গে বেশ কয়েকটা দুধের প্যাকেট কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। সারা দিন কখন, কী প্রয়োজন পড়ে। সব ক’টি প্যাকেট তো এক দিনে কেটে ফেলেন না। ফ্রিজ়ে থেকে যায়। সেই পুরনো দুধ গরম করতে গেলেই ছানা কেটে যায়। পুরনো দুধ খেলে ইরিটেবল বাওয়েলের সমস্যাও হয়। কিন্তু অনেকটা দুধ ফেলে দিতেও খারাপ লাগে। তা হলে কী উপায়? অনেকেই পুরনো দুধ দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরি করেন। দুধ পুরনো হলেও খাবারের মান হয় দ্বিগুণ।
ফ্রিজে রাখা পুরনো দুধ দিয়ে কী ধরনের খাবার তৈরি করতে পারেন?
১) বাটারমিল্ক:
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রায়ই ঘোল বা ছাঁচ খেতে থাকেন অনেকে। সেই পানীয় তৈরির জন্য দই পেতে নিন, দু-তিন দিনের পুরনো দুধ দিয়ে। তার সঙ্গে জল, জিরে গুঁড়ো, চাট মশলা এবং সামান্য নুন মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু পানীয়।
২) ঘি:
বাড়িতে তৈরি ঘিয়ের কোনও বিকল্প নেই। দুধের সর যত পুরনো হয়, ঘিয়ের মান, গন্ধ ততই ভাল হয়। তাই পুরনো দুধকে ঘি তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতেই পারে।
৩) বেকিং:
পুরনো দুধ খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু অনেকটা পরিমাণ দুধ ফেলে দিতেও খারাপ লাগে। তাই সেই দুধ কিন্তু বেকিংয়ের কাজে লাগাতে পারেন। কেক, মাফিন, কুকি ছাড়া এই দুধ দিয়ে প্যানকেক, পাউরুটিও তৈরি করতে পারেন।
হোয়াইট সস্ পাস্তার হোয়াইট সস্ বানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে পুরনো বেঁচে যাওয়া দুধ। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সস্:
বাড়ির ছোট-বড় সকলের প্রিয় খাবার হোয়াইট সস্ পাস্তা। এই হোয়াইট সস্ বানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে পুরনো বেঁচে যাওয়া দুধ। এই ধরনের দুধ ব্যবহার করলে সসের ঘনত্ব সুন্দর হয়।
৫) দই:
দুপুরে ভাত খাওয়ার পর রোজই টক দই খান। পুরনো দুধ ফেলে না দিয়ে বাড়িতে দই পাততে ব্যবহার করতে পারেন। পেটের গোলমাল তো হবেই না, দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বাড়বে।