দারচিনি খেলে সত্যিই কি শর্করা বশে থাকে? ছবি: সংগৃহীত।
মাংসের ঝোলে দেওয়ার গরমমশলা থেকে দারচিনি বেছে আলাদা করে রাখেন। কারণ, সকালে ঘুম থেকে উঠেই চায়ের মধ্যে দারচিনি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করেছেন। সমাজমাধ্যম ঘেঁটে জানতে পেরেছেন, এই দারচিনি শুধু তার গন্ধের জন্যই নয়, পুষ্টিগুণের জন্যেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার চেয়েও বড় কথা, এই দারচিনি রক্তে অতিরিক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। আবার শরীরচর্চা করেন যাঁরা, তাঁরাও বিপাকহার ভাল রাখতে খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে দারচিনি মেশানো চা খেয়ে থাকেন। এই দারচিনি মেশানো চা খাওয়া কি শুধুই হুজুগ, না কি সত্যিই এই মশলায় তেমন গুণ রয়েছে?
দারচিনি দেওয়া চা খেলে কী উপকার হয়?
১) দারচিনির মধ্যে রয়েছে ‘সিনাম্যালডিহাইড’ নামক একটি বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটি আসলে শরীরে ইনসুলিনের বিকল্প হিসাবে কাজ করে। স্বাভাবিক ভাবেই রক্তে বাড়তি শর্করা বশে থাকে।
২) খাবার হজমের প্রক্রিয়া যত ধীর হয়, শরীরের জন্য তত ভাল। খাবার তাড়াতাড়ি হজম হলে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রাও বেড়ে যায়। দারচিনি সেই কাজে অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। স্বাভাবিক ভাবেই রক্তে শর্করা বশে থাকে।
৩) শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণেও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। দারচিনির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা এই ধরনের স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশপাশি প্রদাহজনিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে।
দারচিনি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
কোন কোন উপায়ে ডায়েটে দারচিনি রাখা যেতে পারে?
১) সারা রাত এক গ্লাস জলে একটি বড় টুকরো দারচিনি ভিজিয়ে রেখে দিন। পর দিন সকালে উঠে খালি পেটে দারচিনি ভেজানো জল খান।
২) দারচিনি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। দারচিনির মধ্যে মিষ্টি ভাব রয়েছে। এই চা খেতে মন্দ লাগে না।
৩) অনেকেই সকালের জলখাবারে ওট্স খান। দুধে ওট্স মিশিয়ে খাওয়ার সময়ে এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়বে আর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।