ব্যাগ হালকা রাখার উপায় কী? ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছে, সেখান থেকে মানেভঞ্জন। তার পর শুরু হবে সান্দাকফু ট্রেকিং পর্ব। স্টেশন থেকে মানেভঞ্জন পৌঁছে দেওয়ার গাড়ি ঠিক করাই আছে। সান্দাকফু রুটে চড়াই-উতরাই খুব বেশি নয়। তবু ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার মতো পথ অতিক্রম করতে না পারলে সান্দাকফু পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। মানেভঞ্জন থেকে টুমলিং হয়ে সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যান। তার পর কালাপোখরি থেকে সান্দাকফু পৌঁছতে পারেন। এতটা পথ ট্রেক করতে গেলে একটু ঝাড়া হাত-পা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পিঠের ট্রেকিং ব্যাগটিও হালকা হলে ভাল হয়। কিন্তু শীতের জায়গায় গেলে তো গরম পোশাকই অর্ধেক জায়গা দখল করে রাখে। সে ক্ষেত্রে ব্যাগ হালকা রাখার উপায় কী?
১) নিউট্রাল টি-শার্ট
দু-তিনটি এমন রঙের টি-শার্ট সঙ্গে রাখুন, যেগুলি স্কার্ট, ট্রাউজ়ার সব কিছুর সঙ্গে পরা যায়। কালো, সাদা, গাঢ় নীল, কালচে খয়েরি— মোটামুটি এই রঙের টি-শার্টগুলি জিন্স বা একরঙা পেন্সিল স্কার্ট, সব কিছুর সঙ্গেই পরা যায়। এই ধরনের পোশাক ব্যাগের মধ্যে বেশি জায়গাও দখল করে না।
২) ট্রাউজ়ার
ডেনিম, খাকি, কালো এবং অফ হোয়াইট— এই কয়েকটি রঙের চিনো, ট্রাউজ়ার বা জিন্স সঙ্গে রাখতে পারেন। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে, ট্রেকিং-এর সুবিধার্থে এই ধরনের পোশাক রাখাই ভাল। কোনও ভাবে যদি ট্রাউজ়ার ভিজে যায়, তাই দু-একটি বিকল্প রাখতেই হবে।
৩) আরামদায়ক জুতো
ছবিতে দেখতে সুন্দর লাগবে বলে অনেকেই পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতোও সঙ্গে নেন। কিন্তু তাতে শুধু ব্যাগ বোঝাই হয়। কারণ, ঠান্ডায় কায়দার জুতো পরা মোটেই সমীচীন নয়। তার চেয়ে পায়ের জন্য আরামদায়ক, ফিতে বাঁধা জুতো সঙ্গে নেওয়াই ভাল।
বেশি জিনিস নেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) গা গরম রাখার পোশাক
শীতের জায়গায় সোয়েটার বা জ্যাকেট ছাড়া যাওয়া যায় না। কিন্তু সমস্যা হল, এই ধরনের পোশাকগুলিই ব্যাগের অর্ধেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। অন্য কিছু নেওয়ার উপায় থাকে না। এই সমস্যার সমাধানে মোটা সোয়েটার বা চামড়ার জ্যাকেট না নিয়ে গা গরম রাখার থার্মাল সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫) ওয়ান পিস ড্রেস বা স্কার্ট
পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন, ট্রেকিং করবেন, অথচ ইনস্টাগ্রাম জুড়ে ভাল ভাল ছবি উঠবে না, তা কী করে হয়? কিন্তু সেই এক টি-শার্ট এবং জিন্স পরা ছবি তো দুটো-তিনটের বেশি দেওয়া যায় না। তা হলে উপায়? ছবি তোলার জন্য সঙ্গে কয়েকটি স্কার্ট বা ওয়ান পিস ড্রেস নেওয়া যেতেই পারে।