দেহের কোন কোন অংশ পরিষ্কার করেন না? ছবি: সংগৃহীত।
কাজে বেরোনোর আগে রোজ স্নান করেন। তবে তাড়াহুড়োতে শরীরের সব অংশে নজর দিতে পারেন না। ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে টাইপ করতে করতে হঠাৎ চোখে পড়ে। নেলপলিশ দিয়ে ঢাকা থাকলে রক্ষা। তবে বেশির ভাগ সময়েই নখ থেকে অর্ধেক নেলপলিশ উঠে যায়। তাই নখের বাড়তি অংশে কালচে নোংরার স্তর সকলেরই চোখে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্নান করলেও শরীরে এমন কিছু অংশ আছে, যেখানে ময়লা থেকেই যায়।
কোন কোন জায়গায় ময়লা থাকলেও তা চোখ এড়িয়ে যেতে পারে?
১) নাভি
শরীরের সবচেয়ে অবহেলিত অংশ হল এই নাভি। স্নানের সময়ে গায়ের যাবতীয় নোংরা এসে জমা হয় এই অংশে। শুধু তাই নয়, গরমে ঘামে দেহের মৃতকোষও এসে জমতে থাকে নাভিকুণ্ডলে। দীর্ঘ দিন ধরে পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে গোটা শরীরেই সংক্রমণ হতে পারে।
২) কানের পিছন
চিকিৎসকেরা বলছেন, মাথার রোজ শ্যাম্পু করলেও কানের পাশের ময়লা কিন্তু পরিষ্কার করার কথা মাথায় থাকে না। কানের পাশে আঙুল দিয়ে একটু ঘষলেই বোঝা যায়। বিশেষ করে যাঁদের মাথায় খুশকি রয়েছে, তাঁরা এই সমস্যার সম্মুখীন হন প্রায়ই।
৩) নখের তলা
শখ করে নখ বড় করেছেন। কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করতে ভুলে যান। খাওয়ার আগে বা স্নানের সময়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরেও নখের কোণে কোণে ময়লা জমে থাকে। খাওয়ার সময়ে সেগুলিই পেটে যায়। সেখান থেকেই ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
মাথার রোজ শ্যাম্পু করলেও কানের পাশের ময়লা কিন্তু পরিষ্কার করার কথা মাথায় থাকে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নিতম্বের খাঁজ
শীতে ঘাম হচ্ছে না বলে, দেহের এই অংশ আলাদা করে পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। দেহের অন্যান্য অংশে সাবান মাখার পর ধোয়ার সময়ে ফেনা এসে জমা হতে পারে নিতম্বের খাঁজে। দেহের মৃত কোষ, সাবানের অবশিষ্টাংশ জমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
৫) পায়ের আঙুলের ভাঁজ
বাড়ি ফিরে আগে পা ধুয়ে তার পর বিছানায় ওঠেন। কিন্তু আঙুলের খাঁজ, পায়ের নখের তলায় জমা নোংরা পরিষ্কার হচ্ছে কি না খেয়াল করেন কি? কল খুলে তার তলায় দাঁড়িয়ে থাকলেও আঙুলের খাঁজ কিন্তু পরিষ্কার করা মুশকিল। যত ক্ষণ না ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন, নখের তলায় জমা নোংরাও পরিষ্কার করা যাবে না।