কতটুকু চিনি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কেক, পায়েস, পেস্ট্রি, নতুন গুড়ের মিষ্টি, মোয়া— বাদ নেই কিছুই। আর খাবেন না ভেবেও মোহ ত্যাগ করতে পারছেন না। ডায়াবিটিস নেই বলে যথেচ্ছ মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। মিষ্টি কম খাচ্ছেন বলে শরীরে চিনি কম যাচ্ছে, তা নয়। সাধারণ বাড়ির খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি রিপোর্ট বলছে, প্রতি দিন গড়ে প্রায় ২২ চামচ করে চিনি খান সারা বিশ্বের মানুষ। কিন্তু তা শরীরে বাড়তি হচ্ছে কি না বুঝবেন কী করে?
১) হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া
কোনও কারণ ছাড়াই যদি হঠাৎ যদি ওজন বাড়তে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে চিনি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। সরাসরি চিনি না খেলেও এমন খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে, যেগুলির মধ্যে কৃত্রিম চিনি মিশে থাকে।
২) মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক
রাত-বিরেতে হঠাৎ যদি মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাকে যদি প্রশ্রয় দেন, তা হলেও কিন্তু ভারী বিপদ। বার বার মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বুঝিয়ে দেয় শরীরে চিনির মাত্রা বাড়ছে।
৩) ত্বকে র্যাশ, ব্রণ
পরিশোধন করা চিনি অতিরিক্ত খেলে যে কোনও বয়সেই ত্বকে ব্রণ হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত চিনি ত্বকে প্রদাহের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব খারাপ।
অতিরিক্ত ক্লান্তি বুঝিয়ে দেয় শরীরে চিনির মাত্রা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অতিরিক্ত ক্লান্তি
হঠাৎ ক্লান্ত লাগলে মিষ্টি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চনমনে ভাব ফিরে এলেও তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ডায়াবিটিস থাকলে হঠাৎ শর্করা বেড়ে বা কমে যাওয়াও ঠিক নয়। উল্টে সারা ক্ষণ মাথা ঝিমঝিম করতে পারে, ঘুম পায়।
৫) বার বার অসুস্থ হওয়া
অতিরিক্ত চিনি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বার বার সংক্রমণজনিত সমস্যা হলে বা সুস্থ হতে অতিরিক্ত সময় লাগলে বুঝতে হবে সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে চিনিতে।