তব্বুর ফিটনেস রুটিন। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর ৫৪-এ পা দেবেন বলিউড অভিনেত্রী তব্বু। তাঁর সমসাময়িকরা এখন অনেকেই অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি যেন নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন আর গড়ছেন। এখনও পর্দায় তব্বুর উপস্থিতি তীব্র গরমে এক পশলা বৃষ্টির মতো। নির্মেদ চেহারা, টান টান ত্বক, হাঁ করে তাকিয়ে থাকার মতো ফিটনেস— ৫০ পেরিয়ে তব্বু এখনও অনেকেরই চিনচিনে বুকে ব্যথার কারণ। নিজেকে এমন তরতাজা রাখতে কী রুটিন মেনে চলেন তব্বু?
যোগাসন
শরীরচর্চার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন তব্বু। তবে জিমে যাওয়া না-পসন্দ। অভিনেত্রী ভরসা রাখেন ঘরোয়া শরীরচর্চায়। তাই যত ব্যস্ততাই থাক, দিন শুরু করেন যোগাসন দিয়ে। সকালের দিতে বেশ অনেকটা সময় শরীরচর্চায় মগ্ন থাকেন তব্বু।
ধ্যান
তব্বুর বিশ্বাস, বাইরে থেকে সুন্দর থাকতে মন শান্ত রাখা জরুরি। তাই মেডিটেশন করেন তিনি। তবে রোজ নয়। সপ্তাহ ২-৩ দিন ধ্যানে বসেন। সারা দিনের সব ক্লান্তি ধুয়েমুছে নাকি সাফ হয়ে যায় মেডিটেশন করলে। সে কারণেই ধ্যান তাঁর অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়।
শরীরচর্চার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন তব্বু। ছবি: সংগৃহীত।
ধারাবাহিকতা
শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তিনি। কাজের চাপে শরীরচর্চায় কখনও বেশি সময় দিতে না পারলেও বাদ দেন না। তবে ব্যস্ততা না থাকলে যত ক্ষণ না ঘামে ভিজে স্নান করে যাচ্ছেন, তত ক্ষণ শরীরচর্চায় ইতি টানেন না।
ডায়েটে নজর
ঘরোয়া খাবার ছাড়া অন্য কিছু মুখে তোলেন না অভিনেত্রী। দুপুরে খান অল্প ব্রাউন রাইস আর সব্জি দিয়ে তৈরি ডাল। সকাল এবং রাতেও একেবারে হালকা খাবার খান। সেদ্ধ সব্জি, ফল আর ডিম সেদ্ধ তাঁর অন্যতম প্রিয় খাবার।
চিনির সঙ্গে আড়ি
তব্বুর হেঁশেলে চিনি ঢোকে না। চিনি আছে এমন খাবার থেকেও দূরে থাকেন তিনি। প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবার ছুঁয়ে দেখেন না অভিনেত্রী। জীবন থেকে চিরতরে চিনি বাদ দিয়েছেন বলেই ওজন বাড়েনি, চেহারায় জমেনি মেদ।