হোটেলের ঘর কতটা নিরাপদ?
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন শহরে কিংবা পর্যটন কেন্দ্রে এয়ারবিএনবি জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে। এই বিদেশি সংস্থা স্বল্পমেয়দি ভিত্তিতে পর্যটকদের অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা বাড়ি ভাড়া। সারা বিশ্বে প্রায় ২২০ টি দেশে এই সংস্থা তার পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
এত প্রচার ও জনপ্রিয়তার কারণে ইদানীং যে কেউ কম খরচে অন্য কোনও শহরে কয়েক দিনের জন্য থাকতে হলে চোখ বন্ধ করে এয়ারবিএনবি-এর উপর ভরসা রাখে। তবে সম্প্রতি এয়ারবিএনবি সংস্থা তার পরিষেবার জন্য বিপাকে পড়েছে।
কানাডার ব্রাম্পটনে একটি পরিবার এয়ারবিএনবি-র আওতায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অবাক করা ঘটনার মুখোমখি হয়েছে। তাঁদের শোয়ার ঘরে লাগানো ছিল একটি গোপন ক্যামেরা। সেই পরিবার সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রমাণ হিসাবে তাঁরা হোলেটের ঘরে থাকা ক্যামেরার ছবিও তুলে রেখেছেন। জ্যাস গ্রেবাল নামক এক ব্যক্তি তাঁর তিনজন ভাইবনকে নিয়ে সেই এয়ারবিএনবিতে ছিলেন। একটি বৈদ্যূতিক তারের খোঁজ করতে গিয়ে তাঁদের চোখে পড়ে ক্যাবিনেটে করা একটি বড় ছিদ্র। তাঁরা হতবাক হয়ে যান যখন সেই ছিদ্রের মধ্যে ক্যামেরার লেন্স চোখে পড়ে। ক্যাবিনেটে চাবি লাগানো ছিল, তাই চাইলেও সেটি খুলে দেখার উপায় ছিল না। ক্যামেরাটি ঠিক বিছানার সামনে বসানো হয়েছিল।
প্রতীকী ছবি
এয়ারবিএনবির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা আছে যে, গ্রাহকদের নিরাপত্তার খাতিরে কোনও ঘরে ক্যামেরা ও শব্দ নিরীক্ষণ যন্ত্র থাকতে পারে। তবে সে বিষয় তাঁদের জানানো হবে। এই যন্ত্রগুলি কোনও ভাবেই যেন গ্রাহকদের গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন না করে সে বিষয়ে সংস্থা সর্বদাই সতর্ক থাকে।
গ্রেবালের মতে, তাঁদের ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো থাকবে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানতেন না।
এই অভিযোগ পেয়ে সংস্থার তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাহকের সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দিষ্ট এয়ারবিএনবি বাড়ির বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।