Messeging Mistakes

কাজের কথা থেকে গল্প সবই হয় মোবাইল বার্তায়, লেখার সময় কোন ভুলে ঘটতে পারে বার্তা-বিভ্রাট?

সমাজমাধ্যম হোক বা হোয়াট্‌সঅ্যাপ, লিখেই চলে কথোপকথন। কিন্তু সামান্য ভুলে তা থেকেই বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। কোন কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৬:১২
Share:

পেশাগত জগৎ হোক বা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা বা বিশেষ বন্ধুর আলাপচারিতা, সমস্ত কিছুই এখন হয় সমাজমাধ্যমে থেকে হোয়াট্‌সঅ্যাপ লিখে। অনেকেই আছেন যাঁরা কথা বলার চেয়ে বার্তা পাঠিয়ে কথোপকথনেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তাঁদেরকেই বলা হয় ‘টেক্সট্রোভার্ট’।

Advertisement

অনেকেই লিখে মনের ভাব প্রকাশে বেশি সাবলীল। তবে কর্মক্ষেত্রে কাজের জন্য বার্তা পাঠানো হোক বা বিশেষ কারও সঙ্গে বার্তালাপ, টাইপ করতে সামান্য ভুলেই কিন্তু ঘটে যেতে পারে বড়সড় বিভ্রাট। বিশেষত ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করে বাংলা ভাষা লিখতে গেলে এমন ঘটনা ঘটেই যেতে পারে। বললেন এক, অন্য জন বুঝল আর এক। সামান্য ভুলে বিভ্রান্ত ছড়াতে পারে আরও। বার্তা পাঠানোর সময় মেনে চলা দরকার কিছু নিয়মকানুনও। জেনে নিন সেগুলি কী?

সংক্ষিপ্ত কথা: বার্তা চালাচালির সময় লিখতে কম সময় লাগবে বলে অনেকেই শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করেন। যেমন কোনও কাজ দ্রুত করাকে বলা হয় ‘অ্যাসাপ’। এমন অনেক শব্দ রয়েছে। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত রূপে বার্তা যাঁকে পাঠানো হচ্ছে তিনি তা না বুঝলে যেমন বিভ্রান্তি হতে পারে, তেমনই সংযোগের প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকতে পারে।

Advertisement

ভাষা

অনেকেই বার্তাতেও এমন ভাষা ব্যবহার করেন, যা পেশাগত ক্ষেত্রে বা কোনও মহিলার সঙ্গে বার্তালাপে একেবারেই অনুচিত। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কখনও কখনও তা ব্যবহার করলেও এমন শব্দপ্রয়োগ এড়িয়ে চলাই ভাল। পাশাপাশি, লেখার সময় বানান ভুল হচ্ছে কি না, দেখা প্রয়োজন। লিখতে গিয়ে ভুল হলে, অন্যের কাছে বার্তার অর্থই বদলে যাবে।

প্রত্যুত্তরের সময়

অনেক সময় কেউ বার্তা পাঠানোর পর উত্তর দিতে এতটাই দেরি করে ফেলেন, বিষয়টির প্রাসঙ্গিকতাই থাকে না। ব্যক্তিগত স্তরে কারও সঙ্গে কথা হোক বা কর্মক্ষেত্রে, কোনও বার্তার উত্তর যদি তখনই দেওয়া সম্ভব না-ও হয়, যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেওয়া উচিত।

অন্য জন বুঝলেন কি?

অনেক সময় বার্তা যিনি পাঠাচ্ছেন তিনি ধরেই নেন, যা লিখবেন অন্য জন সেটা বুঝতে পারবেন। এমনটা না-ও হতে পারে। তাই কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে, সেটা সম্পর্কে সরাসরি লেখা উচিত। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে নয়। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেকে হয়তো সরাসরি কোনও কথা না বলে ইঙ্গিতপূর্ণ কথোপকথন চালান। সে ক্ষেত্রে অন্য জন সঠিক ভাবে বার্তার অর্থ বুঝতে না পারলে জ্ঞাপন প্রক্রিয়াটি অসম্পূর্ণ থাকতে পারে।

না বুঝে ‘ইমোজি’

অনেকেই কথাবার্তার মধ্যে মনের ভাব প্রকাশে, মজার ছলে নানা ধরনের ‘ইমোজি’ ব্যবহার করেন। রসিকতা করতে গিয়ে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, দেখা দরকার। না হলে, যে জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উদ্দেশ্যই সফল হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement