প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। কিন্তু বয়েসের সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। তাই প্রয়োজন ভিটামিন সি’র। ত্বকের বলিরেখা কমানো, কালচে দাগছোপ হালকা করে আরও উজ্জ্বল করে তোলা, ত্বককে আর্দ্র রাখা— ভিটামিন সি’র গুণাগুণ প্রচুর। কিন্তু ভাল মানের ভিটামিন সি সিরামের বাজারে দাম প্রচুর। অনেক মানুষের কাছেই তা হয়ত নাগালের বাইরে। কিন্তু তাই বলে কি রূপ-রুটিন থেকে বাদ পড়বে এত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান? কখনওই না। বাড়িতেই একটু পরিশ্রম করলে বানাতে পারেন এমন সিরাম। জেনে নিন কী ভাবে।
পদ্ধতি
১/৪ আই-অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড পাউডার (অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের কিনবেন। না পেলে ভিটামিন সি ট্যাবলেটও গুঁড়িয়ে নিতে পারেন)
২ চা চামচ গোলাপ জল
১ চা চামচ গ্লিসারিন
১ ভিটামিন ই ক্যাপসুল
একটা ছোট কাচের শিশি। ড্রপার দেওয়া ঢাকনা হলে আরও ভাল
শিশিতে ভিটামিন সি’র গুঁড়ো আগে ঢেলে তারপর গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলটা ফুটো করে ওষুধটা চিপে বার করে নিন। তারপর গ্লিসারিন দিয়ে ভাল করে ঝাকিয়ে নিন। একটু অন্ধকার ঠান্ডায় জায়গায় শিশিটা রাখবেন।
কী ভাবে লাগাবেন
এক শিশিতে যতট সিরাম রইল সেটা এক সপ্তাহে শেষ করে ফের নতুন করে বানাতে হবে। রোজ রাতে শোওয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে, টোনার ব্যবহার করে সিরামটা লাগিয়ে নিন। তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগান। ভিটামিন সি লাগালে আপনার ত্বক সূর্যের আলোয় আরও স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই পরদিন সকালে অবশ্যই ভাল করে সানস্ক্রিন লাগাবেন।
খেয়াল রাখবেন
প্রথমে হালকা জ্বালাভাব হতে পারে। তাই শুরুতে রোজ না লাগিয়ে একদিন অন্তর সিরামটা লাগান। যাতে ত্বক মানিয়ে নেওয়ার সময় পায়। কিন্তু দু’সপ্তাহ পরও যদি এই জ্বালা ভাবটা না কমে, তা হলে আর লাগাবেন না।