দু’জনের বিয়ের তারিখ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছিল জল্পনা। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে বলিউডের সম্পর্ক নতুন নয়। সেই বন্ধন আরও দৃঢ় করতে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন কেএল রাহুল এবং আথিয়া শেট্টি। দু’জনের বিয়ের তারিখ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছিল জল্পনা। অবশেষে অবসান ঘটল তার। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের উৎসব। দু’বাড়ির তরফেই চলছে নানা আচার পালনের পর্ব। তিন দিন ধরে চলবে বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু রীতি মেনে ঠিক কোন দিন চারহাত এক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রেমের সম্পর্ক এ বার পরিণতির পথে। ছবি: সংগৃহীত।
একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা, তাই বেজায় ব্যস্ত সুনীল শেট্টিও। বিয়ের খুঁটিনাটি নজরে রাখছেন তিনি। মেয়ের বিয়েতে বাবাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে। সবটাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন সুনীল। বিয়ের আসর কোথায় বসতে চলেছে, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে মুখ খোলেননি পাত্র-পাত্রীর কেউই। তবে মনে করা হচ্ছে, বিয়ে হবে সুনীলের খান্ডালার বাড়ি ‘জাঁহা’তেই। খান্ডালার পরিবেশ এই সময় খুবই মনোরম থাকে। চারদিকে পাহাড় আর সবুজের হাতছানি। এমন নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশই নতুন জীবন শুরু করার জন্য আদর্শ হিসাবে বেছে নিয়েছেন রাহুল-আথিয়া। এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সুনীল জানিয়েছেন, এই বাড়ি তাঁর সবচেয়ে শান্তির জায়গা। এখানে থাকলে এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি মুছে যায়। মন শান্ত থাকে। সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা এই বাড়ি। দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় ভরে থাকে বাড়ির চারিপাশ। আলাদা করে নাকি আলো না জ্বালালেও চলে। নিজের বাড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুনীল। আথিয়ার জীবনের নতুন অধ্যায় তাই এই বাড়ি থেকেই শুরু হোক, তেমনটাই চেয়েছিলেন সুনীল। দু’পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধুদের নিয়ে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বলিউড এবং ক্রিকেট দুনিয়ার অনেকেই আসতে পারেন বিয়েতে।
২০১৯ সালে আথিয়ার সঙ্গে পরিচয় রাহুলের। সে বছর ডিসেম্বর থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হলেও, কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তখন। পরের বছর তাইল্যান্ড গিয়েছিলেন দু’জনে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও সম্পর্ক নিয়ে কুলুপ এঁটেছিলেন মুখে। পরে অবশ্য সত্যিটা বুঝতে বাকি থাকেনি কারও। প্রেমের সম্পর্ক এ বার পরিণতির পথে।